হয়তো আর একটু খুঁজলেই পেয়ে যেতে
সোনালি শস্যে ভরা ভোরের বাতাস
খুঁজে ফেরা ঢেউগুলো নিঃশেষ হতো
বন্দরের আলোআঁধারিতে !

নদী ও মানুষের বুকে যে মৃত্যু জেগে উঠে
তাতে আমি পয়ারের নতুন সম্ভবনা দেখি,
দেখি কেউ একজন মগজের ফিতাগুলো
ধুঁইছেন জোছনার আলো জলে !

জীবন আর মৃত্যুর যুগল সন্ধিতে
সৃষ্টি হয় নবনব জীবন,
বাতাসে বাতাসে রক্তের উত্তরমেঘ
সুন্দর একটি প্রভাতের জন্য
গিলে খায় বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড !

ছোট্ট অঙ্গুলিস্ফোটনের নিথর রক্তের দাগ
বুক পকেটে জমা রাখার জন্য
নিহত হওয়ার গল্প তোমাকে শোনাব বলে
আগাম মৃত্যুর আশঙ্কাকে
ভোরে ফোঁটা ফুলের মতো মুগ্ধতা দিয়ে
অপরাহ্ণে নিহত হতে ভালোবাসে
কারন আমি জানি ঐ অল্প জানা সুচরিতাসুকে
মুগ্ধ করতে চাইলে
কবরীর বাহানা মেটাতে চাইলে
আমার করোটি থেকে
তোমাকেই ছিঁড়ে নিতে-ই হবে
আমার সু-বাতাস !

উঠ্ বন্ধু
তোমাকেই উঠতেই হবে
অথবা তোমাকেই উঠতেই হতো
কেননা সন্তানের রক্ত দিয়ে জমি কিনে
নেওয়ার যে প্রয়োজনীয়তা আর কখনো-ই
এভাবে তুমি অনুভব করোনি  ;
তোমার স্বপ্ন  
রক্ত আর মৃত্যুর মতো
সন্তান বা প্রিয়তমার চোখে দেখা দুঃস্বপ্নের আঁধার !

তুমি বিশ্বাস কর
আমাদের আবার দেখা হবে
চায়ের ফুটন্ত ধোঁয়ায়
অথবা নিরস্ত্র পতাকায়
তখন রক্তেভরা মৃত্যুর পথকে
মিলে মিলে মসৃণ করে হেঁটে যাব
সহস্র মাইল !

উৎসর্গ : আমার সন্তানের সমবয়সী বা নবজাতক ফিলিস্তিন সোনামণিদেরকে,যাদের শৈশব নিহত নক্ষত্রের মতো বেড়ে উঠে !  নিহতদের প্রতি অসীম সমবেদনা ! হে পতাকা তুমি উঠে দাড়াও!  তুমি আসবে বলে, প্রতিটি সন্ধ্যা কেড়ে নেয় আমার রাতের ঘুম !

মেঘদূত
১৯/১০/২০২৩
মতলব উত্তর, চাঁদপুর।