হে নিয়তি আমাকে টেনে নিয়ে যাও
তোমার দুর্বার সীমাহীন ঠিকানায়
এখানে মগজ গলে পরে
কপোলের শেষ সীমায়
অন্তহীন শোষণে
থেতলে গেছে হৃৎপিণ্ডের চলমান কণিকা !

হে নিয়তি বৃষ্টি জলে ধুয়ে দাও
আমার মৃত সত্ত্বার কোটরে
লুকানো জানালার গ্রিল
এইটুকু আয়োজনেই
সন্ধ্যা মিলে যাক
অমাবস্যার ধুরন্ধর  ছকে !

আঁধারের সৎকারে
আমার যে অনীহা
তা আমার নিয়তি
যদি একখণ্ড মাংসে
একটি কাকের পাকস্থলীর খিদে মিটে
তাহলে হে অচল নিয়তি মেনে নাও:
ক্ষুধাতুর কাকের পিপাসা  
পুড়ে ছাঁই হওয়ার চেয়ে
একটি ক্ষুধার্ত কাকের জন্য
একবেলা খাদ্য হওয়া
অনেক সুখের
অনেক আনন্দের !

হে নিয়তি আমাকে খুন করো
তোমার রঙ্গিন ঠিকানায়
ফিরিয়ে দাও
আমার সাদাকালো জীবন !

উৎসর্গ : বর্ষা ঋতুকে

মেঘদূত
১৮/০৬/২১ ইং
বনানী, ঢাকা ।