হে শ্রীমতি চপলা তোমাকেই বলছি
তোমার ভালোবাসায় অনন্তকালের সুখ আছে
এই যামিনীর যুতসই গাঢ় আঁধারের সবুজ বাতায়নে
পূর্ণচক্রের শ্রেষ্ঠতম আলোর পূর্ণচাঁদ
তোমার সমস্ত তোমাকেই ছুঁয়ে আন্দোলিত হয় !
অথচ এই আমি
হে শ্রীমতি চপলা তোমাকেই বলছি
তোমার পল্লবিত পলক জোড়ে
সৃষ্টির অনন্ত পদ্মকোষে ক্ষয় হতে হতে
নিজেকে ধ্বংস করে
নবজাগরণে সোনালি প্রভাতের জন্য
একটি বর্ণমালা হতে চেয়েছি !
আমার ভাঁটা ধরা বিশ্বাস,
বিশ্বাস করে
সৃষ্টির পরতে পরতে আছে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সৃষ্টিশীল বারতা,
আর ধ্বংসের পরতে পরতে আছে
মহত্তর সৃষ্টিশীল বারতা-
ধরুন কীটস্ বা শেলি
বা রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল
নিজেদের ক্ষয় করতে করতে
সৃষ্টি করেছে সৃষ্টিশীল সাহিত্যপাতা !
হে শ্রীমতি চপলা তোমাকেই বলছি
আমি ক্ষয় হয়ে যাওয়ার আগে
দ্রবীভূত আহ্লাদে
ভরা জোছনার নিরেট স্বপ্নে
তোমার উষ্ণতম নরম হাতে
একটি স্বপ্ন রেখে
চোখের পাতা এক করতে চাই !
উৎসর্গ : প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী
মেঘদূত
০৫/১০/২০২৩
মতলব উত্তর, চাঁদপুর।