ওরা খতমে খতমে রক্ত কিনতে চায়
বিনি পয়সায়
কিন্তু রক্তে ভেঁজা ঘাম
অত্ সস্তা নয়
যেন চাইলেই ভেঙ্গে ফেলবে
পাজরের হাড়
মুষ্টিতে আটকানো দৃপ্ত স্লোগান !

জাতি হিসেবে আমরা প্রেমে মরেছি
আবার দ্বিগুণ প্রেমে জেগে উঠে
প্রেমিকাকে রক্ষার জন্য লাঙ্গলের ফলা ছেড়ে
অস্ত্রের মুখোমুখি দাড়িয়ে
ছিনিয়ে এনেছি টুকরোটুকরো সুখ
বিজয়ের ধ্বনিত আওয়াজ !

একাত্তর
আমার মা
আমার প্রেম
আমার ভালোবাসা
আমার চোখের জলে ভেঁজা পতাকা !

কোথায় সেই একাত্তর
যে একাত্তরে আমরা এক হয়েছিলাম
তারপর আমরা আর এক হতে পারিনি
প্রতিদিন-ই আমরা ছিন্নভিন্ন হচ্ছি
মানচিত্রের মতো
প্রায় মানুষ
খুন আর রক্তে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিস্বাদ নীল !

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেখি
বাতাস তার দূষিত হওয়ার কথা বলে
জলের মাছ ডাঙ্গায় উঠে আত্মহত্যা করতে চায়
মানুষ তার হতাশার কথা বলে
সন্তান তার মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার জন্য গোপনে
গোল টেবিল করে
কারন ফ্ল্যাটে জায়গা দিলে
নষ্ট হয়ে যাবে বিস্তীর্ণ ক্ষেত
দু'বেলা খাবো বলে পঞ্চাশ গুণ বেড়েছে
নিত্য খাদ্য সামগ্রী
মাথাপিছু আয় বেড়েছে
কিন্তু এখনো মানুষ রাস্তায় নিদ্রা যায়
কাগজের কাঁথায়
এখানে মানুষ শীতে তাপ নেয় সূর্যের আলোতে
অর্থ আর অস্ত্রের মুখে
গোটা জাতি আজ জিম্মি
কথায় কথায় গলা টিপে ধরে
দানবের হাত
গুণীজন এখানে আর জন্মাবে কিনা
অহেতুক আমি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি
মগজের পকেটে জমা থাকে দুর্নীতির ত্রাস
ডিগ্রীর কচকচানিতে শিক্ষার আলো আঁধারে ডুবেছে
পঞ্চমীর মাতাল রসে
মাকে সিজার করতে গিয়ে ভেতরে গজ রেখে
সেলাই করেন ডাক্তার মহাশয়
হৃৎপিন্ডের অপারেশন করতে গিয়ে
কিডনি কেটে ফেলেন
এ হলো আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী
হে মুজিব
তুমি এসে দেখে যাও
তোমার জয় বাংলা
তোমার সোনার বাংলায়
আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তীতে
আমরা আর কি কি পেলাম
আর কি কি পেলাম না  
তবে বেঁচে আছি
এইটুকু সান্ত্বনা !

উৎসর্গ : ২০২১ সন কে

মেঘদূত
৩১/১২/২০২১ ইং
বনানী, ঢাকা ।