ছেলেবেলার পুরনো সখটা হঠাৎই
মাথাচাড়া দিয়েছে।
যদি একটা নৌকা কেনা যেত,
তাহলে উজানের টানে
ঠিক ভেসে যাওয়া যেত।
সেদিনের সেই আর্থিক দৈন্যতা
আজ তেমন নেই;
তাই হাতে যা জমানো টাকা
তাতে একটা নৌকা না হওয়ার
কোন কারণ দেখি না।
শুধু ভয় হয়,
নৌকা কেনা হলেও
তাকে ভাসাতে কি পারব?
তবু ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি চলে -
নৌকার গড়ন, তার পালের রঙ,
তার ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য,
এ সব খুঁটিনাটি তথ্যে খাতা ভরে যায়।
নৌ-বিদ্যার বই জোগাড় করে
প্রয়োজনীয় দক্ষতা নোট করি;
তারপর, কোন নদীর পারে বসে
শোনাই আমার প্রস্তুতি -
নদী শোনে কি না
তা জানি না,
তবে এ হেন সখে তাকে আগেভাগে বন্ধু
করাটা খুবই প্রয়োজন,
এটা আমার বিশ্বাস!
ইদানীং ঘুমের মধ্যে থেকে থেকে
ঢেউ এর শব্দ শুনি,
ভীরের মধ্যে হঠাৎ কানে আসে
ভাটিয়ালি গান;
ভোরের হাওয়ায় স্পষ্ট পাই
মোহনার নোনতা স্বাদ।
এখনই কি হয়নি সময়?
চরাচরের অসীম নির্জনতায়
শুধু এই কথাই বুঝি -
নোঙ্গর তুলতে গেলে আগে
বাঁধন যে আলগা করতে হয়।।