আমি সবেতে আছি-
জলে স্থলে অন্তরীক্ষে।
চরম সত্য হয়ে বিরাজ করি
জীবেরই বক্ষে।
আমি অবতারের রাজার নীতির মুখ-
সত্য হারিয়ে, ভক্তি হারিয়ে
পূজাকে করেছি দূর। আমি দানব রূপী-
দর্পের দাবানলে অন্তর দিয়েছি পুড়িয়ে।
আমি অবহেলিত আজ।
পাতাল খুঁজি, যেথায় লক্ষ্মীর ঘর-
জলস্রোত হারায় ফল্গুর বালু।
মাটির দেশে ফসল নেই। শূন্য ভাণ্ডার। সভ্যতা নিথর।
আমি ক্ষমতায় আসীন-
ধর্মগ্রন্থে বাল্মীকি কাব্য পায়নি ঠাঁই।
প্রজাপালন লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য বিভেদ দাঙ্গা।
মন্ত্রের ভিড়ে আমি মন্ত্রিত্ব গাই!
আমার তোমার নাম এক
কিন্তু আকাশ পাতাল ফারাক!
ভজনের নামে মিথ্যাচার-
রুদ্ধ জনতার বাক।
নামে কি এসে যায়!
জনতা আমাকেই চেনে এখন।
তোমার মূর্তিতে আমার মালা:
তোমার কলির বেশ আমার হাতেই খুন!
সে ছিল আমার এক ছেলে-
আমার মতোই প্রজাপালন করতো যত্নে।
মরণ কালেও মুখে আমার নাম-
ভাণ্ডার আমার পূর্ণ ছিল রত্নে।
আমি তাঁর ইতিহাস মুছে দেবো।
রাখবো না তাঁর কোনো প্রমাণ।
রামুর নীতি থেকে রাজার নীতি কোথাও কোনোখানে
রাখবো না তাঁর পদচিহ্ন, সভ্যতার সেই সম্মান।