১)
নন্দিতা বিয়ে করেনি-
ওর যাকে পছন্দ ছিল, তাকে ওর মা মেনে নেয় নি-
সে ওর পিসতুতো দাদা, রানা।
নন্দিতা সারা জীবন ভাইয়ের সংসারে খেটে গেল
দু মুঠো অন্নের জন্য-
বিনা পয়সার ঝি।
এখন ও খাটে ভাইপো, বাবলুর সংসারে---

২)
রানাও বিয়ে করেনি।
ভালো চাকরি করতো, পেনশন পায়।
নন্দিতার সাথেই থাকে,
বাবলুকে টাকা দিয়ে সাহায্য করে, নন্দিতাকেও---
ওর সম্পত্তি সব বাবলুর ছেলে পাবে-
নন্দিতাকে বাঁচানোর এছাড়া আর কোনো উপায় নেই!

৩)

বাবলুর ভাই, বুবুন
এক জায়গায় রেজিস্ট্রি করে রেখে
আরেকটা বিয়ে করতে যাচ্ছিল:
মোটা টাকা পণ নেওয়ার লোভ!
দুটো মেয়েই ছিল বড়লোক ঘরের।
যে মেয়েটার সাথে রেজিস্ট্রি করা ছিল,
তার বাবা লোক দিয়ে বুবুনকে মারিয়ে দিলো-
ভরপেট মদ খাইয়ে জলে ফেলে দেওয়া হল।
কেসটা ধামাচাপা পড়ে গেল অতি সহজেই:
মেয়েটার বাবা জনগণের বড় প্রতিনিধি।
বুবুনের চরিত্রও ভাল ছিল না।
তাই আর এগোনো গেলো না।  

৪)
নন্দিতার বয়স এখন সত্তর,
দারুণ কর্মঠ।
রানার আশি, শরীরে প্রচুর রোগ,
তবু বলে, 'নন্দিতা আগে যাক'।

৫)
বাবলুর ছেলের ওপর যে রানার মায়া পড়েনি তা নয়,
তবে নন্দিতাই সব কিছুর হেতু।