১) কারাগার
চার দেওয়ালের মধ্যে বসে-
মানুষ গবেষণা করে,
লেখালিখি করে,
ছবিও আঁকে...
কিন্তু চিরকাল চার দেওয়ালের মধ্যে থাকলে
মানুষ পাগল হয়ে যায়।
বাইরের হাওয়া খেলে সজীবতা ছোঁয় মহা জীবনকে
যেমন মায়ের চক্ষুদান করেন ঠাকুরমশাই।
ঘরে যে হাওয়া ঢোকে,
তাতে শরীর জুড়িয়ে গেলেও
অস্তিত্বে পড়ে ভাটা।
বাইরের হাওয়া খেলে
মনে আসে জোয়ার,
হৃদয়ে ঢেউ।
চলো ভেঙ্গে দিই চার দেওয়াল-
হাওয়ার তোড়ে ভেসে যাক সৃষ্টিকর্তা:
ছড়িয়ে পড়ুক সৃষ্টি দিকে দিকে...
ঘরের আলো কুয়োর ব্যাঙ।
সূর্যের আলো মহাসমুদ্র।
বাইরে এসে দেখি মাহাত্ম্য।
২) ভাই ফোঁটা
যেদিন ভাই ফোঁটা
তার আগের দিন
ভাই গেল চলে-
সম্পর্ক ছিঁড়ে নয়,
সংসার ছেড়ে।
মরুভূমির বুকে খুঁজে বেড়াই মরূদ্যান-
মরীচিকাই সম্বল।
অশ্রু টেনে নিয়েছে বালু,
তার উত্তাপে জ্বলছে দু চোখ।
নিথর দেহ
দুপুর বেলার পুকুর পাড়ের মতোই শান্ত।
কপালে চন্দন,
ফোঁটা দেওয়ার অবকাশ নেই।
যম সবার মারক,
তবু যমুনার সাথে কখনও বিচ্ছেদ নেই!
আমরা মানুষ বলেই তো অপরাধী!
ভাই-এর হাতে তখনও বিপত্তারিণীর সুতো বাঁধা।
হাসপাতালে যাওয়ার আগে দিদি বেঁধে দিয়েছিলেন-
ভাই ফোঁটার আগের দিন শেষ রাখী বন্ধন!
কিন্তু বিপদ আর কাটলো কই...
৩) তালা চাবি
তালা ঝোলে দরজায়।
চাবি এ হাত ও হাত হয়ে ঘুরে বেড়ায়,
কখনও কারো পকেটে ঢুকে জমায় পাড়ি!
তালা আমি।
চাবি আমার মন।