শশার যেভাবে ছাল ছাড়ানো হয় ধারালো ছুরি দিয়ে,
ঠিক সেইভাবেই ওদের ধারালো হাত
ছাড়াচ্ছে ওর বেশ
কিন্তু শশা কাটলে রক্ত বার হয় না----
ও যাতে চিৎকার করতে না পারে,
তার জন্য আগে থেকে রুমাল মুখের ভিতর গুঁজে
কালো কাপড়ে নাকের নীচের অংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
একজন দুটো হাত চেপে ধরেছে,
অপরজন দুটো পা
আর তৃতীয় জন ছাল ছাড়াচ্ছে ওর।
মেয়েটার চোখ মুখ দেখা যাচ্ছে না-
কেবল ওর শরীরটা উঠছে নামছে।
ওর বৃন্ত কেটে নেওয়া হল,
সকলে চেরি ফল ভেবে একবার করে চেখে দেখলো।
তারপর একটা লোহার রড গুঁজে দেওয়া হল
দুটো পায়ের মাঝখানে- সেটা কিভাবে কোথা দিয়ে
শরীরের ভিতর ঢুকলো তা বোঝা গেল না।
একজন খানিকটা মাংস কামড়ে ছিঁড়ে নিলো বক্ষ থেকে,
আর একজন উরু থেকে,
তৃতীয় জন পশ্চাৎ দেশ থেকে।
নৃশংস মানুষ ভোগ করার পদ্ধতিও জানে না-
জানে শুধু ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো রক্ত মাংস নিয়ে খেলা করতে।
মেয়েটার মুখটা মনে হল দেখতে পাচ্ছি-
মনে হল দেখলাম মায়ের মুখ,
মনে হল দেখলাম বোনের মুখ,
মনে হল দেখলাম স্ত্রীর মুখ,
মনে হল দেখলাম কন্যার মুখ---
না, ওকে বাঁচাতেই হবে, নইলে
আমি বাঁচবো কোন অধিকারে এই সমাজে?
ওকে বাঁচাতে গেলে যদি জীবন যায় যাবে
কিন্তু নির্বিকার হয়ে আমি কখনোই বাঁচতে পারবো না।
আমি রক্তে মাংসে গড়া, কোনো পাথরের মূর্তি নই!
মেয়েটার দেহটা আর কিন্তু উঠছে নামছে না।
হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল, দেহ ঘেমে নেয়ে গেছে,
টেবিলে রাখা জলের বোতলের দিকে হাত বাড়ালাম।