আড়াই হাজার লোক হয়েছিল শ্মশানে-
দলের লোকতো ছিলই, অন্য দলের লোকও ছিল সেখানে।
শত্রুরও বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দিয়ে বুকের শেষ রক্ত-
প্রণাম করি তোমায় আমি অহিংসার অনির্বাণ ভক্ত।
ঢাকা ছিল তোমার দেহ তিন রঙের পতাকায়।
কাঁদছিল আকাশ, মাটি, জল ও বায়।
অপরিণত বয়সে খসে পড়লে তুমি তারার মতো।
মাতৃভূমির বন্দনার স্লোগানে মুখরিত হল মৃত্যুলোকের অন্ধকার যত।
তোমার মা হাত মুঠো করে ধরলেন জীবনের শেষ অন্ধকার-
চোখের জল বন্যা হয়ে ভাসালো বৃদ্ধার জীবন নদীর দু ধার।
দিদি, ভাই, ভাগনে, ভাইঝি- সকলকে আহত করে
হারিয়ে গেলে চিরদিনের মতো তুমি অচেনা অজানা মৃত্যুর ক্রোড়ে।
তোমার স্মৃতি সৌধ আজও সূর্যের মতো উজ্জ্বল-
জীবিতাবস্থায় সেবা না পেলেও শ্রদ্ধায় আলোকিত তোমার মৃত্যুকাল।
কত বছর পার হয়ে গেল তুমি নেই,
ভুলতে পারিনি তোমার হাসি মুখ সেই।
তোমার মা অসহায় শিশুর মতো আজও কাঁদেন-
জীবন আপন ছন্দে ফিরে এলেও সব হারিয়ে ফেলেন।
তোমার মৃত্যু আজও আমাদের কাছে ভীষণঃ
তোমাকে কখনো ভুলবে না মোদের ব্যথিত মন।