ওদের ভুল পথে চালিত করা হয়েছিল-
ভিখারির রুটির করের দোহাই দিয়ে।
কিন্তু ভিখারি কত কর দেয় আর ব্যবসায়ী কত?
এই সত্যতা কেউ করেনি যাচাই মাথা ঘামিয়ে!
ভোলানাথ পিছন থেকে করতো সমর্থন;
ওর ছোট ভাই, চন্দ্র, ডাক্তারির ছাত্র, সামনে থেকে।
চন্দ্রের প্রেম, মায়াও ভোলার বাড়িতে পেয়েছিলো আশ্রয়,
সাথে তার বান্ধবী, সুরভী সুযোগ পেয়ে দিয়েছিলো গা ঢেকে।
যেন একটা পরিবার, মিলের ভিতর নেই কোথাও গরমিল,
আছে কেবল আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন দেখার পালা।
সুরভী, সমাজ বিজ্ঞানী, পুরো ডানা কাটা পরী,
ভোলার মেজো ভাই, নন্দলাল, পরিয়েছিলো তার হাতে বালা।
কিন্তু পতাকা নামিয়ে পতাকাকে সম্মান জানাবে কিভাবে?
পতাকা তুলেই সম্মান জানাতে হয় পতাকাকে।
তারা মামারা ঘরে আসবে, খোঁজ খবর নেবে।
ভোলার ছোট ছেলে মেয়ে, গিন্নি কহে, 'বাঁচাও আগে নিজেকে'।
চন্দ্র ও মায়া পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছিল রেল স্টেশনে।
সেখানেই ইতি, ইতিহাস সংগ্রাম, লাল ঘাম দিয়ে প্ল্যাটফর্ম-এ লেখা।
সুরভী কোথায় গেল আজও কেউ জানে না?
নন্দলাল আর বিয়েই করে নি, নিজের ভিতরে নিজেই হারিয়েছে একা।
তারা মামারা কিছুই পায় নি ঘরে, বৃথা খোঁজ খবর এতো!
গিন্নি কহে, 'কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়'।
কিন্তু তারা মামারা পিছু ছাড়েনি, হয়তো সন্দেহে।
সপ্তাহে সপ্তাহে ঘরে এসে ভোলাকে প্রশ্ন করে যেত, সুরক্ষার ভয়।
ছেলে মেয়ে মানুষ হোক, এটাই এখন স্বপ্ন।
ভোলা আর ও পথ মাড়াবে না, সংসারী গিন্নির টানে।
ঠাণ্ডা মাথায়, লাল ঘাম না ঝরিয়ে, অনেক কিছু করা যায়।
লোকতন্ত্র হোক লোকাচার, লোক হোক শান্তিকামী দিব্যজ্ঞানে।