'এ বাড়ির আমিই মালিক,
আমিই বাবার পুত্র, জানে চতুর্দিক'।
'মিথ্যে, চুপ কর তুই দাসীর সন্তান,
আমিই আসল উত্তরাধিকারী, এই দেবালয়ের প্রাণ'।
'সব সাজানো, বাবার প্রথম স্ত্রী ছিলেন মরু,
আমার মা মরূদ্যান, তার গর্ভেই জন্মেছে এই প্রাণদাতা তরু'।
'ভগবানের আশীর্বাদে আলোর বৃষ্টি ঝরে,
অন্ধকার চোখ মেলে অনুর্বরার ঘরে'।
'তুই গল্পের ভূত, আঁধারেই মিলিয়ে যাবি,
আমার হাতেই থাকবে সদা সিন্দুকের চাবি'।
'না, অধিকার আমার, বেজন্মার নেই ঠাঁই হেথায়,
বাবার ছায়া থাকে সদা ছাতার মতো আমার মাথায়'।
'তুই বুদবুদ মাত্র, আমি নদীর বুকে মৃদু ঢেউ,
দূর হ এখান থেকে, পরিচয়হীনকে চেনে না কেউ'।
'আমার জমি, আমার ফসল, আমি দখল ছাড়বো না,
কাকতাড়ুয়া বসিয়ে দেবো, যা তুই উড়ে যা'।
দেবালয় হল দ্বিখণ্ডিত-
আজও সেই ফাটল জোড়ে নি------
সত্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে পাশবিকতা-
আগুনে এখনো পুড়ছে ঘি!
ঘরের লড়াই লড়ছে সবাই জনপদে-
রক্তের স্রোত দিচ্ছে ধুয়ে মৃত বালির দেহ!
জবরদখল শ্রাবণের বন্যা হয়ে ভেসে আসে-
সত্য কথনে ভরা পৃষ্ঠা আজ ঘুমন্ত হিমবাহ------