একটু জোরে চেপে ধরে
যেই না দিলাম টান
টানের চোটে কোমরের বেল্ট
ছিড়ে হলো খান খান

অফিসেতে যাওয়ার সময়
এমন এক কান্ড
বিধাতা কি আমার প্রতি
নির্দয় পাষন্ড !

ম্যনেজ করে খেতে বসে
খেলাম গপাগপ
ভাত ডাল আর মাছ মিলিয়ে
খেলাম আমি সব।

খাওয়া শেষে তাকিয়ে দেখি
খেলাম আমি কি!!!!
ডালের মধ্যে হাজার পিপড়া
আগে দেখি নি। ....

ওয়াক ওয়াক করতে করতে
গেলাম বেরিয়ে
গলির মুখে গেলাম আমি
থমকে দাড়িয়ে।

এক পা ওয়ালা একটি ফকির
তার একটি পা দিয়ে
নিখুত ভাবে পা টি যে মোর
দিলই মাড়িয়ে।

ময়লা দাতের হাসি দেখে
মেজাজ হলো গরম
"ফকির মানুষ " এইনা ভেবে
একটু হলাম নরম ।

বেলায় বেলায় অনেক সময়
হয়ে গেল পাস
ছুটে গেলাম হনহনিয়ে
ধরতে অফিস বাস।

রাস্তায় এসেই মাথা গরম
নেই তো অফিস গাড়ি
লোকাল বসেই চড়ে বুঝি
দিব পথ পাড়ি।

ঘড়ির দিকে তাকাই
আবার তাকাই পথের দিকে
বাসের আশায় মুখটি যে মোর
যাচ্ছে হয়ে ফিকে।

অবশেষে লোকাল বাস
ছয় নম্বর এলো
উঠতে গিয়ে লড়াই করে
প্রানটি যেন গেল।

ভীরের মধ্যে কেউ বা ঠেলে
কেউবা দেয় পারা
ঘামের গন্ধে , মুখের গন্ধে
হচ্ছি পাগল পারা।

এমনি করেই অফিস গেটে
নামলাম তড়িঘড়ি
হটাথ করেই টের পেলাম
প্যান্ট টি গেছে ফাড়ি।

পশ্চাদ দেশ এ বায়ুপ্রবাহ
হটাথ গেছে বেড়ে
ছেড়া পথে বাতাস যেন
ঢুকছে তেড়ে ফুড়ে।

মাথার উপর আকাশ যেন
পড়ল ভেঙ্গে চুড়ে
হাসব আমি? কাদব নাকি ?
যাবই নাকি মরে ?

এক কলিগ কে দিলাম ফোন
পাশেই বাসা তার
তার প্যান্ট পরেই তবে
পেলাম আমি পার।

সকাল থেকেই বিরম্বনা
মারছে আমায় পিষে
ভাগ্য দেবী সয়ং  বুঝি
আমায় দেখে হাসে। .....আমারই সর্বনাশে। ...


(বাস্তব অভিজ্ঞতা অবলম্বনে )