কালো মেঘে ঢেকে গেছে
আমার দেশের মাটি।
লুটেপুটে আজ খাচ্ছে কারা?
বখতিয়ারের ঘাঁটি।

খুন-পিপাশুর দখলে আজ
আমার স্বাধীনতা ,
তেলবাজরাই হয়ে গেল
এ দেশ-জাতির নেতা।

লক্ষ টাকা ঘুষ পাবে কই
চাকরী? চাষীর ছেলে!
মেধা ঘুমায় জাদুঘরে,
আর অধিকার গেল জেলে।

টাকা দিয়ে আইন কেনা যায়
মামলা মুকদ্দমা।
চালচুরেরা মানছে না আজ
কোথায় দাড়ি কমা।


নন্দলালরা জাতির সেবক
করছে জাতির সেবা,
ভাইযে তাহার অচিকিৎসায় মরে
দেখবে কখন কে বা।

কৃষকের ধান কেটে দিল আহা,
মাড়িয়ে দিল খড়,
মানুষ কজন ,গুনে না পেলেও
ক্যামেরাওয়ালার ঝড়।

সবই যদি হয় দেখানোর তরে
সবই যদি ছিনিমিনি,
সত্যিকারের দেশের সেবক
হবেন কবে তিনি?

ত্রান নিয়ে কত রূপকথা
আর সেলফির ইতিহাস,
বলি, মানুষ হয়েও কেমনে খেলি
কেড়ে মানুষের গ্রাস।

সত্যবাদী সাংবাদিকটা
হয়ে গেল মোবাইল চুর!
কি রুচির ওষুধ খেয়েছিস তোরা?
সবই লাগে সুমধুর ।

সত্যি বলি ভাই তোদের স্থানটা
জেল-হাজতে নয়,
বাঘ-শুকরের চিড়িয়াখানায়
মানাবে বেশ, তাইতো মনে হয়।


শোষণ-ত্রাসে অগ্রযাত্রা
না থামানো গেলে,
খুঁজে মরবে ,একটা মানুষ
কোথায় গেলে মেলে।

ভাই ভাই শোন
আমরা এখানে বাঁচবনা চিরদিন,
মানুষের তরে শোধ করে যাই
আল্লাহর দেয়া ঋণ।

কবর মাটিতে  ঘুমাব একা
নয় যে সেদিন দূরে,
শত ক্ষমতাসীনের হাড্ডিও পাবে না,
কবর-মাটি খুঁড়ে ।

মাটিতে আদম শুরু হল
আর মাটিতে মিশে হবে শেষ,
দয়ালু রবের ক্ষমা নিয়ে
গড়ি সুন্দর পরিবেশ।

কিসের বড়াই ? অহংকার আর
কিসের এত লোভ?
মাটিতে মিশে শেষ হয় যার
হিংসা-কিবির ক্ষোভ।

এমন জীবন কর হে গঠন
বিলিয়ে জীবন-প্রাণ,
হাজার বছরের ইতিহাস মাঝে
স্মৃতি রয় অম্লাণ।

মৃত্যুর পরে লোকে যেন বলে
“মানুষ” ছিলরে ভাই,
যুগে যুগে যেন মানুষের হৃদে
ভালোবেসে দেয় ঠাঁই।