এই প্রত্যেক রাতের শেষে ভোরের কাছাকাছি,
গলায় যেন গোটা একটা সাহারা বাসা বাঁধে,
আমিও মাথার কাছেই রাখি
কেরোসিন রঙা বিদেশি ব্র্যান্ডেড পয়জন,
কিন্তু এসবে আর কিছুই হয় না তেমন,
বড় জোর ঘাম গায়ে, অস্পষ্ট স্বপ্ন আর ঘুম এই।
একেবারেই ডাল ভাতের মতন, নিত্য ব্যাপার স্যাপার।
যেমন সস্তা আমার নয় টা বছরের ছুটে চলা তোমার দিকে,
একেবারে কথার কথায় উড়িয়ে দিয়ে মুছে ফেলা যায়,
ঘরের অপ্রয়োজনীয় স্মৃতি আর ধুলো বালির সাথে।
এরপর এক ফালি ভোর এসে উঁকি দেয় আমার জানলায়
যেটা একটু আগেও জ্যোৎস্নার ছিলো,
এখনো রুপালি রঙ লেগে আছে পর্দার ভাঁজে।
বেহায়া দক্ষিণা বাতাসও আমার পর্দার রঙ ছুঁয়ে গিয়ে,
দোল খায় দূর গোরস্থানের জঙ্গলি জবার স্তবকে।
আগামী বসন্তে জবারা যখন ঝরে যাবে ঘাসে,
তখন আবার লম্পট বাতাসের গল্প ছড়াবে পিপড়ার কানে কানে,
ছড়িয়ে যাবে তোমার প্রিয় কৃষ্ণচূড়ার শেকড় অবদি।
আমি জানি ওই নিঃশ্চুপ অন্ধকারে,
প্রিয় শেকড়েরা তোমায় গল্প শুনিয়েছে, শেষ নয় টা বছর ধরে।
উড়ো গল্পের মতন
আমিও ছুটে চলি আপেক্ষিক স্থবিরতা কে সঙ্গে নিয়ে
তোমার দিকে, ওই গহিনে, ওই অন্ধকারে,
প্রিয় কৃষ্ণচূড়ার অতলে।