এই মাএ যে সদ্য শিশুটি জন্ম নিল
তাকে প্রহার করছ কাদাবার জন্য
যখন সে প্রমান করল ,আমি জীবিত
তখন তোমরা তার গলাটিপে ধরছ
জিজ্ঞেস করলে বল “একদম চুপ”
সে যখন অন্ধ নয়নে মাকে হাতরে ফেরে
বাচার স্বাদ আশ্বাধন করতে চায়
লুকাতে চায় পৃথীবির সবচেয়ে সুন্দর আশ্রয়ে
অথচ তোমরা তাকে কোল থেকে কেড়ে,ফেলে দিচ্ছ ডাস্টবিনে
জিজ্ঞেস করলে বল “একদম চুপ”
সেই শিশুটি যখন আবজ্রনা থেকে খাবার কুড়ায়
লেখা পড়া শিখে মানুষের খাথায় নাম লিখতে চায়
মায়ের কপালে দিতে চায় লাল-সবুজ টিপ
তখন তোমরা তার বুকের উপর পা রেখে,মন মাটি চাপা দাও
জিজ্ঞেস করলে বল “একদম চুপ”
যখন কৈশোরে পড়তে চায় সিরাজ উদ্দোলার মুকুট
গোটা বাংলা সাজাতে চায় মানবতার আলোয়
লোক থেকে লোকালয়ে গড়তে চায় বিশ্বাসের মূর্তি
তোমরা তখন বিশ্বাস ঘাতকতা করে শরীরে তীর বিদ্ধ কর
জিজ্ঞেস করলে বল “একদম চুপ”
যখন সে ভবঘুরে হয়ে পথে পথে ঘোরে
নিজ হাতে স্বপ্নগুলো ছিড়ে- জলে ডোবায়
অর্থের তাড়নায় বুক ফেটে চিৎকার করে
তখন তোমরা তার মুখে কাপড় গুজে দাও
জিজ্ঞেস করলে বল “একদম চুপ”
যখন সে স্বপ্ন কিনবে বলে দিনরাত পরিশ্রম করে
অর্থ দিয়ে ভালবাসার দুর্গ গড়ে মানব সীমানায়
তার চোখে মুখে ফুটে ওটে পূর্ণ তৃপ্তির অবয়ব
তখন তা গলির ধারে বসে কেড়ে নাও
জিজ্ঞেস করলে বল “একদম চুপ”
তোমরা তো তাকে ঠেলে দাও অভিশপ্ত কহর দরিয়ায়
তার সব কিছু লুটে নিয়ে চোরাবালিতে ডোবাও
হাঁটতে হাঁটতে যখন সে বুঝতে পারে ঠকানো হচ্ছে
তখন প্রতিবাদ করে,একাই উপড়ে ফেলতে চায় অনিয়ম
তোমরা তখন তার শরীর থেকে রক্ত কেড়ে নাও
জিজ্ঞেস করলে বল “একদম চুপ”
আমি কি পারি না মমতার কোলে শুতে
আমি কি পারি না মাথায় মূকুট পরতে
আমি কি পারি না অন্যায়কে রুখে দিতে
আমি কি পারি না সত্যকে লালন করতে
আমি আর কত কাল চুপ করে থাকব
কবে আমার ঠোঁট থেকে তোমাদের আঙ্গুল সরাবে,
আমি তো পারি না জীবন আবার শুরু করতে
কিন্তু যারা এই মাত্র জীবন পেল?,পেল জীবন পথ
তোমরা তো তাদের জন্য গড়তে পাড়
এক ঘরে হাজার দড়জা,অন্ধকারে আলোর পথ
যে ঘর থেকে ভেসে আসবে জীবনযুদ্ধ বিজয়ের গল্প
নাকি তখনও তোমরা বলবে “একদম চুপ”