দু পায়েতে দাঁড়িয়ে
সকাল থেকে সূর্য অস্ত
দেখিনি তাকে কখন হতে
একটু খানি বিচলিত,
কত ঝড়, কত ঝঞ্জাট
গিয়েছে তাহার শরীর দিয়ে
তবু সে একটু নড়েনি
সদর দরজার ঐ কোণ থেকে।
বয়সের ভারে-
গলার আওয়াজ কমে গেছে তার
কমে গেছে তার বাহুর ওজন
তবু,এতটুকু কমেনি মনের জোর
চোখ দুটু রয়েছে তার এখনও শকুন
সেই একই সাহসে দাড়িয়ে এখনও
ভয় করে না মরন –যোধন,
জীবনান্তে তার দুরদূরানি নেই
সর্বদা এখনও দায়িত্বের প্রতি অম্লান।
এই বাড়িরই কোন এক ঘরে
কেটে গেছে তার জীবন কাল
দায়িত্বের কাছে মাথা নত করাইয়াছে
সংসার আর প্রমোদ এর টান।
অভীক তুরঙ্গ এর মত দাঁড়িয়ে থেকে
রাতের বেলা ছোট্র ঘর
ঘরেতে কোন আসবাব নেই
ছড়ানো ছিটানো দু একটা শার্ট
অবহেলায় মরিচা ধরেছে
গ্লাস-বাটি আর চাঁদরটায়
তবু আজও শত যত্নে রেয়েছে
চাকুরীর জন্য পাওয়া- খাকী ইউনিফর্ম।
জীবনটাকে কিনে নিয়েছি ,
খুবই অল্প দামে
ছোট্র এ জীবনে পাইনি সে
কোন সন্মান ,অভ্যর্থনা,
আবদার নিয়ে দাড়ায়নি কখন
চোখের সামনা –সামনি
বাড়িটাকে সে স্বর্গ ভেবেই
দিয়েছে আজীবন পাহাড়া।
কেটে গেল আজ চৌএিশটি বছর
সময়ের রোদে-
শুকিয়ে কাঠ হয়েছে বাড়ির বড় আমগাছ
অদৃশ্য হয়েছে উঠানের মাঝে থাকা বেলগাছ
উড়ে চলে গেছে পোষা পাখিরা
কিন্তু আজও -দাড়য়ান কাকা দাড়িয়ে।