স্তব্ধ রাতে নিঃশব্দ পদচারণা,
ল্যাম্পপোস্টের আলোকদ্বীপে বন্দী,
এক কাপ চায়ে মাছির মতো চুমুক,
বিস্বাদ নিস্তব্ধতা আর নিষ্পলক চাহনি,
প্রেম তবে কি মরে গেছে চৈত্রের প্রাক্কালে!
মানবিক ঘরে অবিশ্বাস ছড়িয়েছে জাল,
কোনো কণ্ঠস্বর নেই, পাতার গান নেই,
বাতাসেও সুর নেই।
তপ্ততার উষ্ণতা টের পেয়েছে একাকীত্বের শশ্মান,
খোপায় কালো চুলের উপর জড়ানো আছে নামহীন শহরের দীর্ঘ নিঃশ্বাস,
সবুজ ঘ্রাণে রঙহীন প্রজাপতির স্পর্শ,
বুকের মাঝে মরুদ্যান,
আজও তোমাকে চাই শীতের সকালের কুয়াশার মতো,
শাসিত হোক আমার ঠোঁট পল্লব,
সুখান্বেষণে ডুবে যাওয়া দুটি দেহের প্রভাতফেরী কি মেনে নেবে এই জনপদ?
ক্রুর দূরত্বকে বলছি তুমি চলে যাও,
আমি মানি না তোমাদের কার্পণ্য,
আমি আজও আদিমের মতো নগ্ন সত্তাকে প্রেম দিয়েছি ঢেলে,
নদীজলে ব্যাকুলতা,
নোঙর ফেলেছি গহীন বনে,
তৃষ্ণার মারণসম কামড় জাগ্রতচিত্তে হুঙ্কার দেয়,
চাহনির প্রেম, হাতে হাত রাখার প্রেম, দু মুঠো বুক খুলে কথা বলার প্রেমে চলুক নিয়মের ঘড়ি।