দেহের খোঁজে ডুব দিলাম—কামের পাথরে ঠেকলো হাড়;  
ভাঁজে ভাঁজে পাহাড়, শৃঙ্খলের মতো পর্বত জমে আছে রক্তের সীমানায়,  
গহীন অরণ্যে ঢুকেই হারালাম—মুখোশ পরে আছে সমাজের শিয়াল!  
যোনিপথে লালসার আলপনা এঁকে দিয়েছে ইতিহাস—  
মেয়েদের হাড়ে লেখা যুদ্ধের গল্প...  

মনের কোটরে ঘুন পোকা কাটে শব্দহীন কুঠার—  
স্বপ্নের পাতায় ফুটে ওঠে ছিদ্র
আর নগরের ইটগুলো চেয়ে থাকে:  
"কে বানালো এই মাংসের কারাগার?"  
"কোন যুদ্ধের ফসল এ দেহ?"  
"কোন নদীর জলে মিশবে এ জন্মের ময়লা?"  

পদ্মার বুকে জেগে ওঠে মৃত নারীর নূপুর—  
লালসার নদী ভাসিয়ে নিয়ে যায় অস্ত্রের গন্ধ,  
কাকেরা ঠোঁটে নিয়ে যায় চোখের জল;  
পাহাড়ের গায়ে জমে থাকে অশ্রু বিন্দু—  
মৃত্যু এখানে শুধু একখণ্ড কাদামাটি,  
যেখানে লুটোপুটি করে মানুষ আর সময়...  

মাটির তলায় শেকড়ের মতো ছড়িয়ে আছে রাগ:  
রক্তপাত- আমার দেহের জ্বালা;  
একটি মেয়ে হেসে বলে, "আমার যোনি কোনো পথ নয়
একটি যুদ্ধের ইস্তেহার!"  
আর ঘুন পোকা?  
ওরা তো নিঃশব্দে কাটে মনের গেরো—  
যতক্ষণ না জেগে ওঠে ভোরের কাক—  
রক্তাক্ত ঠোঁটে গান গায়:
"আলো হোক, আলো..."