জ্যৈষ্ঠের শেষে বাতাসে শুনি জলধারার সংগীত,
একি চঞ্চলতা মনকে গ্রাস করে নিয়ে যায় জানালার দোরগোড়ায়,
আদি থেকে অন্ততে পৃথিবীর বুকে কবরের ন্যায় শীতলতা,
পতঙ্গ পাল হিংসার খেলায় ক্ষান্ত দিয়ে দেখছে বসে বৃষ্টির আভা,
সবুজ হয়েছে গাঢ়, প্রকৃতি হয়েছে শ্যামবর্ন,
দূর্বাঘাসের ললাটে জমেছে বৃষ্টির চুম্বন,
বেদনার মতো অবিশ্রান্ত ধারা প্রেমিকের মতো জড়িয়ে নেয় ধরনী' তনু,
আমায় ডাকছে দূর গ্রামের মেঠোপথ,
নদীর জলে মাতাল ছোঁয়া,
হতবিহ্বল নজরে তৃপ্ত প্রণয়।
আকাশ মাটির সুমধুর কথোপকথন,
করুণার উপকণ্ঠে কান্না ধুয়ে মুছে যায়।
কদম ফুলের কাছে ঋণ করেছে মহাকাল,
বাবুই এর ঘরে ভয়ের সঞ্চার।