ওরা বারবার ফিরে আসে,
কখনো আর্য, কখনো মোঘল, কখনো ইংরেজ, কখনো পাকিস্তানি সেজে,
শেকড় গজিয়েছে বহুকাল, চারাগাছের পাতায় ইতিহাস জমে।
তোমার কপালে ওটা যুদ্ধের রেখা,
হাতে লাল আবির,
তুমি হাঁটছো পুরাতন রীতিতে,
উত্তরে বাঁধার পাহাড়, দক্ষিণে সমুদ্র উত্তাল।
বিষন্ন মৃত্যুর গান নিয়ে ফিরে এসেছে নিখোঁজ পাখিরা,
অন্ধভক্তির গ্রাস থেকে বাঁচে নি লোকালয়,
ভয়ার্ত শশ্মান,
নিঃশব্দতা ভয় ধরায় মজ্জায়।
দু' হাজার বছরের পুরাতন রাস্তা,
তোমার চারিধারে রক্ত বন্যা, বেদনার রক্তচোখ,
থামাও এই মৃত্যুর প্রলয়, থামাও ডাকাত নৈশব্দ,
আমাদের পাপ, উদাসীনতা কেড়ে নিয়ে গেছে অরন্য, বন্যতা।
স্বাধীনতা - ঘরের কোণে তুলে রাখা মূল্যহীন শোপিস,
তুমি ভাঙতে এসেছো প্রতিটি কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প।
পেছন ফিরে দেখো না,
ওখানে আছে পরাজয়, গ্লানি আর কামের স্রোত।
আঙুলে আজো লেগে আছে মায়ের মুখের ছোঁয়া, প্রেয়সীর নব্য বুকের উষ্ণতা,
সে আঙুল আজ হাতিয়ার, জীবন্ত উপমা।
কবিতাদের নির্বাসনের পালা শেষ,
ফিরে এসেছে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, সুকান্ত।
পাখিরা আছে,
জ্বলন্ত শিখা নিভে গিয়ে বাদ্যের ফুলকি ফুটে,
গেয়ে ওঠ এই নির্জীব সকালে,
এখনো লড়াই বেঁচে আছে শ্যামলীমার বুকে।