অসীম ঘূর্ণিপাকে তলিয়ে যাওয়া ধরণীর বয়স হলো কতো?
কতো স্রোতের তোড় নীড়ে এসে নিংড়ে পরেছে?
আজও শিউলির বয়স ফুরালে
অধিকতর শীতের আড়ষ্টতা বুকের মাঝে বিধে।
জীবনের শেষ সায়হ্নে চোখের কোণে একাকিনী দ্বীপের অবয়ব,
ক্রুর সত্য "তুমি নেই"।
ডাকতে কার্পণ্য করি নি,
কতো উদ্বেলিত নদীর জল ছুয়েছে ভেলা,
শীতার্ত প্রান্তরে দীন আমি,
একটা বরফ শীতল চুম্বন, অঙ্গে অঙ্গে আলিঙ্গন,
একটা স্পর্শকে পাবো বলে ছুটেছিলাম কতো ক্রোশ।
পশ্চিমা হাওয়া নিয়ে গেছে আমাদের শান্তির নিঃশ্বাস,
যদি হতাম পাখি,
তোমার জানালায় চোখ রেখে আঁকতাম মুগ্ধতার মোহজাল।
কয়েক শতাব্দী পরে আমি আজও একাকিত্বের ছাই হাতে দাঁড়িয়ে আছি স্টেশনে,
একা একা মরছি পিপাসার ক্ষোভে।
খরা চলে মনের কোঠরে,  
মহামারী, সংঘাত, দেশময় জ্বলন্ত লাভা স্রোত পেরিয়ে
প্রেমিক মনের আবদার ছিলো ঠোঁটের চুম্বনে।
রুক্ষ শীত কষ্টের পথ ধরে,
দূরত্ব হিমালয় পর্বত আরোহন করে,
অসীমকাল একাকিত্বকে বুকে লয়ে চলে নির্জন সন্ধ্যা রাতে।