আকাশে কালো ধোঁয়ার ভিতর জ্বলে ওঠে তারা,
জয়তুন গাছের শিকড়ে লাল হয় শিশুর হাসি—
ধ্বংসস্তূপের গায়ে আঁকা হয় রক্তাক্ত বর্ণমালা:
"প্রতিটি পাথর এখন কবিতা, প্রতিটি ফাটল বিদ্রোহের উচ্চারণ!"
বোমার গর্ভ থেকে উঠে আসে অন্ধকারের বিরুদ্ধে
একটি মায়ের লালা-মাখা লুলাবি;
তার হাতের তালুতে জমে থাকে চাঁদের খণ্ড,
আর মুখে অদৃশ্য এক লাল কাফিয়্যার ছায়া—
"শত্রুর আগুনে পুড়ে যাওয়া মাটি থেকেই
ফুটবে তাজা দাফনের ফুল!"
রাতের বুকে ড্রোনের গুঞ্জনে কাঁপে না যে শিশু—
সে জানে, ভাঙা ইটের নীচে লুকিয়ে আছে
নতুন নক্ষত্র বুনে দেওয়ার বীজ;
মৃত বাবার চশমার কাঁচে আটকে থাকা আলো
লিখে যায় অদৃশ্য মহাকাব্য:
"জন্ম নেবে সূর্য ধ্বংসের গর্ভ থেকে, যেমন জ্বলে আগুন মাতৃহন্তা চিতায়!"
শ্মশান হয়ে যাওয়া রাস্তায়
একটি কুকুরের গায়ে লেগে থাকে ফসলের গন্ধ—
সেই গন্ধই বলে যায়: "মাটির গভীরে
অন্তর্ঘাতী শিকড়েরা জমা করছে রস
পাথরের বুকে ফাটল ধরানোর জন্য!"
বিদ্রোহের ভাষা এখন পাথরের মুখে—
যে পাথর ছুঁড়ে মারে এক কিশোরী,
তার ঝুলনিতে বাঁধা থাকে সমস্ত পূর্বপুরুষের স্বপ্ন:
নদীর জল যখন লাল হয়, তখনও
জলের নীচে সাঁতরে যায় জীবনের বীজ!
মৃত্যু কি শেষ কথা?
না—
প্রতিটি লাশের পকেটে থাকে অঙ্কুরিত গমের দানা,
আর মায়ের চোখের জলে মিশে থাকে
ভবিষ্যতের নোনাজল-পাড়ের মানচিত্র!
চিরস্থায়ী জবাব
যতবার মাটি চাপা দেবে, ততবার
ফুটবে আগুনের পদ্ম—
কারণ, আমাদের রক্তে লেখা হয়েছে
অসমাপ্ত এক মহাকাব্যের প্রথম পঙক্তি:
"জন্মই যার ধ্বংসের ভিতর, সে-ই তো অমর!"