রাতের কাঁটায় ঝিলমিল করে দেহ—  
মাংসের ভেলায় ভেসে যায় শতাব্দীর শিশির;  
মনের পাখি উড়ে চলে কেতকীর গন্ধে,  
শঙ্খচিলের ডানায় পুরাতন অন্ধকার।  

ঘাসের গন্ধে জেগে ওঠে হাড়ের শহর,  
জলপাই পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে মৃত্যুর কঙ্কাল;  
দেহ থেকে দেহে ছুটে চলে রেলগাড়ি,  
মেঘনার জলে ভিজে আসে অচেনা মুখের আলপনা।  

হাজারো পথিক খুঁজে ফেরে সন্ধ্যার নৌকো—  
চোখের ভিতর অশ্বত্থ গাছের শিকড় বাড়ে নিঃশব্দে;  
মনের আলোয় জ্বলে ওঠে দেহের কাঠি,  
তবুও অদৃশ্য থাকে সেই সেতু— যেখানে মিলবে সূর্য ও  কর্দম।  

শিশু ফিরে আসে ঘরের দিকে মৃত্যুর গাড়ি চড়ে,  
পদ্মার বালিতে লিখে যায় অক্ষরের রেখা;  
দেহের খাতায় মনের কালি শুকায় না কোনোদিন—  
জীবন নামের সেই অন্ধকারে জেগে থাকে শুধু পারাপারের ছায়া।