চলো কুয়াশা ভেজা কোনো সদ্য স্নান করা মেঠো পথের সাথে মিলিয়ে যাই,
কেউ থাকবে না,
ফুসফুসে নৈঃশব্দের চলাচল।
জ্যোৎস্না নয় অমাবস্যা চাই,
হিজলের তলে ফুলেল ফুলকি,
মুক্তির গান পাখির ডানায়,
একি চঞ্চল সুখ মৃত্যু ডেকে আনে।

জানো খুব ইচ্ছা করে নদীর জলে তোমায় নিয়ে ভাসতে,
ঠোঁটে চুমুর শেষ চুমুক প্রেমের অতলে ডুবিয়ে নিয়ে যায় নিরন্তর প্রবাহ ধরে,
বন্দরে জাহাজ ফিরেছে,
বুকের ভেতর গান ধরেছে সাহসী কিছু সত্তা।

গহীন বনে পাহাড়ের আবছায়া দেখে ভয় পেয়েছিলো যুদ্ধবাজ প্রেমিকের মন,
শান্ত প্রদীপ নক্ষত্রের মতো জ্বলে তোমার দু চোখে,
দেবদূত সমর্পণ করেছে বাক-স্বাধীনতার চাবি,
ঘাসফুলে বোলানো আঙুল শরীরের দোলাচল বুঝে নেয় সন্তর্পণে,
জীবনের পুঁজি কমে,
লগ্নহীন ভঙ্গুর রূপ দেখে ছিলে তুমি,
সেখানে পথ হারাবার ভয় ছিলো না,
লগ্নহীন সময়ের কাটা পরিসমাপ্তিতে ফলাফলের আলোকপাত দেখে।