তোমার বসন্ত এসেছে হঠাৎ—অগ্নিশিখার মতো,
নগরের কংক্রিটে জমে ওঠে রোদের নোনা ঘাম;
মধ্যাহ্নের জবায় রক্তছাপ, গলিত ছায়ার বিবাধ।
কৃষ্ণচূড়ার বৃষ্টিপাত শুনি: রক্তাক্ত হয় আকাশের ডায়েরি,
কোনো এক ভুলে-যাওয়া ঋতুর নাম লেখে কাকের ঠোঁটে ধুলোর কুন্ডলী।
ভাঙা ঘড়ির কাঁটায় ঝুলে আছে আমের বোলের গন্ধ,
কাঁচের গরাদে ফুটে ওঠে গ্রীষ্মের বাষ্পে জড়ানো অশ্রু,
শীতের স্মৃতিচূর্ণ মিশে যায় নর্দমার কালো পান্ডুলিপিতে।
মৃত্যু হয় বা জন্ম হয়, কাঠবিড়ালির চোখে পড়ে অনিশ্চিত ভ্রমণ।
আমি একা রৌদ্রের নিষেধাজ্ঞায়—পাতার ভেজা শব্দ শুনি,
মাটির গর্ভে লুকিয়ে আছে বসন্তের নীল জ্বর;
কোনো এক অসমাপ্ত গল্পের মতো ছড়িয়ে পড়ে আলোর অস্থি,
টেলিগ্রাফের তারে কাঁপে সময়ের অদৃশ্য ডিম্বাণু।
রাত নামলে শহর জ্বলে উঠে ভেজা মাছের চোখের মতো,
আলোর ফাঁকে ফাঁকে বসন্তের লাশ ভাসে নদীর মুখে।
পাতায় জমে থাকে অন্ধকারের আচ্ছাদন ,
পাখিরা তখন উড়ে যায় অগ্নিস্তম্ভের চূড়ায়—
মেঘের গলিতে ঝরে পড়ে একঝাঁক নিষ্ফলা তারার মৃত চিৎকার।