আমার একটা বারান্দার ভারী লোভ ছিলো,
ছোট বেলীফুলে জড়ানো বারান্দার এক পাশে একটা বাগানবিলাস গাছ,
ছোট ছোট নদীদের ধরে আনতাম বাড়ির ধারে,
বয়ে চলতো, গান গাইতো।
লোভ ছিলো সবুজের,
বাক্সবন্দী শরতের মেঘের কোলে মাথা রেখে কোকিলের কন্ঠে গান গাইবার লোভ ছিলো।
লোভ ছিলো জ্যোৎস্না হওয়ার,
স্নান শেষে গড়িয়ে পরা পানিদের মতো প্রাণপণে আকড়ে ধরবো তোমাকে,
লোভাতুর চোখ পাহাড়ের মাঝে ঘুরে বেড়ানো হাওয়াদের কথা শুনে বিমুগ্ধ চেয়ে রয়,
সমুদ্রকে বলতাম তোমার মাঝে গড়ে তোলো নিঃসঙ্গ দ্বীপ,
সূর্য ডোবার সাথে নিভে যেতো বালির কোলাহল।
ডানা চাইতাম,
নব্য সাইকেলে চড়া শিশুর বুকে উড়বার আকুতি নিয়ে পাড়ি দিতাম পৃ্থিবীর শেষ সীমানায়,

আমি কে!
অতীত ভুলে যাওয়া কোনো শহর,
গাছহীনতায় ভোগা কোনো রাজপথ,
আমি রাজনৈতিক বক্তৃতায় মুখস্থ আওরানো উন্নয়ন,
নদীর বুকে ডুবে যাওয়া রহিমা বানুর ঘর,
আমি সমাপ্তি।