যতটুকু স্বাধীন হলে আমি তোমার কপালে চুমুর প্রলেপ এঁকে দিতে পারতাম,
আমি ঠিক ততটুকু স্বাধীনতা চাই,
পাহাড়ের ঘাসফুল, অযত্নে বেড়ে ওঠা বটগাছ,
ঝড়ের তোড়ের সাথে লড়াই করা আধো ভাঙা নৌকা,
ঋণ জমেছে শিশির ভেজা পাতায়,
সূর্যস্নান ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে শোকাশ্রু,
কাকতাড়ুয়ার জনসমুদ্রে মানুষ হতে চেয়েছিলো কেউ,
ভিখারির থালায় পৌছায় নি বাজেট,
বিপ্লব করেছে রাস্তায় জরাজীর্ণ পড়ে থাকা পাতারা,
দুইটা মোড় পেরিয়ে বাম পাশের বাড়িটির ছোট ছেলেটি নেমেছে রজাপথে,
প্রভুর বেদীতে শুকনো ফুল,
ছদ্মবেশী পিপাসার চোখে বিদ্রোহ,
মনুষ্যত্বের কপালে জ্বর,
দাসত্ব প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িয়েছে।
শিমুল তলায় জমা করেছি ক্রোধ,
ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখা আমার গ্রামের ছবি তোমাকে দিলাম,
বাঁচিয়ে রেখো,
আমাকে দিও স্বাধীনতা।
বাণের জল ভাসিয়ে নিয়ে যায় রাজার মুকুট,
নির্জনতা, একাকীত্ব তোমাকে দিলাম,
আমাকে দিও স্বাধীনতা।