দিগন্ত-জোড়া মাঠ, বন-জঙ্গল আর
লতা পাতায় ঘেরা;
পাখির কিচির-মিচির আর
বাউল সাধকের একতারা।
উর্বর ভূমি আর ফসলে ভরা মাঠ
ঢেউ খেলানো নদী আর ব্যস্ত নায়ের ঘাট।
বৃষ্টির পানি আর কাদা মাটি
তার মাঝে দস্যু ছেলেদের লাফালাফি।
শীতের ভোরে খেজুরের রস আর
বসন্তে কোকিলের মধুর গান।
বর্ষায় ছন্দের তালে বৃষ্টি আর
গ্রীষ্মে ফলের মধুর ঘ্রাণ।
শরতে সাদা মেঘের উড়াউড়ি দেখে
জুড়ায় মনো-প্রাণ।
ঘাম ঝরা কৃষাণের শ্রম আর
কৃষাণ বধূর ভালোবাসা;
মাঠ ভরা ফসল দেখে-
পূরণ হয় কৃষাণের আশা।
ঝিঁ-ঝিঁ পোকার ঝিঁঝিঁ আর
তারার মেলা নিয়ে সন্ধা;
নীরব আঁধার আর
ঘরে ঘরে মৃদু প্রদীপ শিখা।
গভীর রাতে শিয়ালের হুক্কা হুয়া
আর কুকুরের ঘেউ ঘেউ;
মুয়াজ্জিনের আযান আর
পাখির গানে ভোর হয়।
সবে নিরহংকার আর সাদা-মাটা
ভালোবাসার নির্মল পরিবেশ আর
মুক্ত ঝগড়া-ঝাটা।
অতুলনীয় সুন্দর আর মনকাঁড়া পরিবেশ;
দূর করে মনের যত ক্লান্তি ক্লেশ।
এত বিশাল সৌন্দর্যের সমারোহ দেখে
জুড়ায় দেহ-মন-প্রাণ;
এত বর্ণরা যার সেতো আমার-
সোনার বাংলার সোনালী গ্রাম।
লেখার সময়কাল- ২০১৫, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।