সেই একাত্তরের রক্তমাখা দিনগুলো।
যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল চারদিকে,
বাংলার মাটিতে ঝড়ে ছিল তাজা রক্তের স্রোত।
প্রতিটি শ্বাসে প্রতিটি মানুষের কণ্ঠে
একটাই ডাক—স্বাধীনতা!
আর তুমি?
তুমি তখনও নিশ্চুপ।
তোমার না ছিলো কোনো দাবি,
না ছিলো কোনো দায়িত্ব।
তুমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলে
নির্লিপ্ত, নির্বিকার।
এই মাটি, এই রক্ত, এই কান্না
তোমাকে ছুঁয়ে গেল না।
তুমি সর্বদা এমনই ছিলে,
তোমার চোখে জল নয়,
তোমার হৃদয়ে বিদ্রোহ নয়।
তোমার কাছে পৃথিবী ছিল
শুধু নিজের ছায়া।
কিন্তু বলো, এভাবে কি চলে জীবন?
একটা নদীর মতো,
যে নদী নিজে শুকিয়ে যায়,
কিন্তু তার জল অন্যের পিপাসা মেটায়।
তুমি তো সেই নদী নও।
তুমি বরং সেই পাথর,
যে নিজের ভারেই তলিয়ে যায়।
তুমি মানুষ, কিন্তু মনুষ্যত্বের অভাব।
তোমার ভেতরে এক চিলতে আলো নেই,
যা আরেকটি প্রাণকে উষ্ণতা দিতে পারে।
তোমাকে নিয়ে কি স্বপ্ন দেখা যায়?
তোমাকে নিয়ে কি জীবন নদী সাঁতরানো যায়?
তোমার সেই নির্বিকারতাই প্রমাণ,
তুমি একাই থেকো।
যে হৃদয়ে দায় নেই,
যে জীবনে দায়িত্ব নেই,
সেই জীবন নিয়ে স্বাধীন বাংলার গল্প কে লিখবে?
========