নীরবতারও যে শব্দ থাকে, তা কি কখনো ভেবেছ?
সেই শব্দগুলো আমাদের চারপাশেই থাকে,
শুধু শোনার মতো মন চাই।
যখন চারদিকে কোলাহল থেমে যায়,
তখনই নীরবতার শব্দগুলো কানে আসে।
বৃষ্টির পরের সেই নিস্তব্ধ দুপুর,
যখন মাটির গন্ধে চারপাশ ভরে যায়,
তখন নীরবতা বলে ওঠে, “শোনো, আমি আছি।”
বাতাসের হালকা ছোঁয়ায় যখন জানালার পর্দা নড়ে,
তখনও তো নীরবতা কথা বলে, “আমি তোমার পাশে আছি।”
আলো আর ছায়ার খেলা দেখে কখনো কি মনে হয়,
ছায়াটাও হয়তো তোমার দিকে তাকিয়ে আছে?
কিছু না বলেও তার মধ্যে যেন কিছু কথা লুকিয়ে থাকে।
তোমার ছায়া তোমাকে ছায়া দেয়, আর বলে,
“তোমার একা লাগলেও আমি আছি।”
নদীর পাশে বসে থাকা একা মানুষটার মতো,
যার সঙ্গী শুধু নদীর ঢেউ আর হাওয়ার নরম পরশ।
তার চারপাশে শুধু নীরবতা,
আর সেই নীরবতাই তার কথা শোনে।
নদীর ঢেউ যখন মৃদু শব্দ তোলে,
তখনও তো মনে হয়—
নীরবতার ভেতর থেকে কিছু কথা বেরিয়ে আসছে।
এই পৃথিবীটাও কখনো কখনো নীরব হয়ে যায়,
হয়তো আমাদের কথাগুলো শোনার জন্যই।
আমাদের না বলা কথাগুলো,
আমাদের অনুভূতিগুলো,
সবই তো সেই নীরবতায় মিশে যায়।
আর সেই নীরবতাই মনের সবচেয়ে গভীর কথাগুলো বলে দেয়।
বলে দেয়, অনুভব করায়—আগত-অনাগত কি আছে মনের চিন্তায়।
=========