আকাশ—এ যেন অনন্তের এক বিশাল ক্যানভাস,
যেখানে প্রতিদিন নতুন রঙ মেশে, নতুন গল্প লেখা হয়।
তবুও, সে নিজে থাকে নীরব, শান্ত!
কোনো দাবি নেই, শুধু ছড়িয়ে থাকে অসীম বিস্তারে,
ছড়িয়ে থাকে আমাদের সবকিছুকে আঁকড়ে ধরে।

সকালে, যখন সূর্য তার প্রথম কিরণ ছড়ায়,
আকাশ যেন নতুন করে জন্ম নেয়।
নীল রঙের মাঝে ছড়িয়ে থাকে একধরনের শান্তি!
যেন সারারাতের ক্লান্তি মুছে নতুন এক স্বপ্নের শুরু।
কিন্তু সেই নীল আকাশও কি নিঃসঙ্গ নয়?
মেঘেরা আসে তার সফরসঙ্গী হয়ে,
আবার বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে তার বুকের ভাঁজে,
নিঃশব্দ কান্নার মতো, যা আমরা অনুভব করি,
কিন্তু শুনতে পাই না।

আকাশ কি আমাদের মতোই খুঁজছে কিছু?
কখনো একা, কখনো মেঘে ঢাকা,
কখনো বিদ্যুৎ চমকে নিজেকে প্রকাশ করতে চাওয়া।
সে কি জানে তার সীমা নেই?
তবুও সীমার মাঝে বন্দী হতে চায়!
যখন পাখিরা উড়ে যায় তার বুকে,
তখন কি আকাশও উড়ে যেতে চায় আরও দূরে?
উড়ে যেতে চায় আরও ওপরে!

রাতে সেই আকাশ যেন আরও গভীর হয়,
তাঁরার আলোয় ভরে ওঠে রহস্যময়তা!
এক এক করে জ্বলে ওঠা তাঁরা!
এ যেন আকাশের নিজের ভাষা।
যা আমাদের বলে যায়—
আসলে কিছুই হারায় না, সবকিছু থেকেই যায়,
শুধু বদলায় রূপ, বদলায় জায়গা।
চাঁদের আলোয় যখন আকাশ মাখে সোনালি আভা,
তখন মনে হয়, আকাশ একাই জেগে আছে,
জেগে আছে সকল নিদ্রাহীন রাতের সাক্ষী হয়ে।
জেগে আছে বহুরূপী ক্যানভাসে, অনন্তের অসীমে।

=========