প্রতিধ্বনির প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সময়ের অলঙ্ঘ্য রেখা,
তোমার অস্তিত্ব যেন সেখানে এক প্রগাঢ় নিঃশ্বাস।
অনন্তের অলিন্দে ছড়িয়ে পড়া নৈঃশব্দ্যের গুঞ্জন
তোমার স্পর্শের স্পন্দনে মর্মরিত হয়ে ওঠে।
অমৃতের আবেশে মুড়ে রাখা প্রতিশ্রুতির ডালি,
যেন কালের অভ্রান্ত বর্ণমালায় রচিত এক অমল অধ্যায়।
তোমার নিঃশব্দ পদচারণায় জেগে ওঠে
অরণ্যের গহনতম গন্ধ,
যেখানে প্রতিটি পত্রের কাঁপনে লেখা থাকে
সময়ের গোপন অভিধান।
অন্ধকারের পরিধির মধ্যে অরুণের প্রথম রশ্মি
যে মায়াবী প্রতীক্ষার গল্প বলে,
সেই গল্পে আমি খুঁজে পাই
তোমার চোখের গভীরতম শূন্যতা।
সেই শূন্যতাই তো জন্ম দেয় সৃষ্টি,
যার অক্ষরে জ্বলে ওঠে ব্রহ্মাণ্ডের বীজমন্ত্র।
তবুও, প্রতিটি শব্দ একসময় নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
প্রতিটি আলো একদিন বিলীন হয়
নক্ষত্রের অন্তহীন পথচলায়।
তোমার নীরবতা সেই আলোর অনুবাদ—
যা নশ্বরতার মাঝে অমরত্বের ইঙ্গিত দেয়।
এভাবেই, একদিন সমস্ত রচনার অন্তে,
আমি শুধু রেখে যাব
তোমার নামে লেখা এক অস্ফুট কবিতা।
যেখানে ভাষা হবে অতীত,
কেবল অনুভূতিই থাকবে
অপার্থিব এক নিবেদন।
========