দুঃখ পুষতে নেই,
দুঃখ হৃদয়ের মাটি কঠিন করে দেয়।
বুকের গভীরে জমিয়ে রাখলে আলো আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
দুঃখকে ছেড়ে দিতে হয় হাওয়ায়,
বৃষ্টি হয়ে ঝরতে দিতে হয় মাটিতে।
নিজেকে মুক্ত করে নতুন করে হাসতে শিখতে হয়।

দুঃখ পুষতে নেই।
দুঃখকে হৃদয়ে জমিয়ে রাখলে সে শেকড় ছড়ায়, জীবনের প্রতিটি কোণে বিষের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
বেদনার ভারে শিরদাঁড়া নুয়ে আসে,
মনে হয় হাঁটছি, অথচ ধীরে ধীরে মাটির গভীরে তলিয়ে যাচ্ছি।
দুঃখকে মুক্তি দিতে হয়, ঠিক চায়ের ধোঁয়ার মতো।
ভোরের এক মুঠো হাওয়া ফুসফুসে ভরে নিতে হয়,
বুকে জমে থাকা কষ্টগুলো বাতাসে ভাসিয়ে দিতে হয়।
নীল আকাশে তাকিয়ে দেখতে হয়—
কেমন হালকা লাগে, কেমন মুক্তি পাওয়া যায়।
দুঃখকে যেতে দিতে হয়, তবেই নিজেকে নতুন করে ভালোবাসা যায়।

দুঃখ পুষতে নেই,
পুষে রাখলেই সেটা নীরবে বিষ হয়ে ওঠে।
প্রতিদিনের হাসির আড়ালে সয়ে সয়ে তলিয়ে যায় সব রং,
মনের আকাশ ধূসর হয়ে ওঠে।
দুঃখকে মুক্তি দিতে হয়, যেমন নদী দেয় ঢেউয়ের বয়ে যাওয়া,
যেমন গাছ ঝরিয়ে দেয় পুরনো পাতা।
বুকের গভীরে জমে থাকা সেই অন্ধকারকে উড়িয়ে দিতে হয়,
আকাশের বিশাল নীলের হাতে তুলে দিতে হয়।
তবেই তো হৃদয় আবার হালকা হয়, মুক্ত হয়।
দুঃখকে যেতে দিতে হয়, তবেই নতুন করে বাঁচার ইচ্ছে জন্ম নেয়।

=========

বি:দ্র: - কবিতাটি প্রিয় কবি- "ফয়জুল মহী'র" লিখা "অপরাজিতা" কবিতা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখা। তাই আবারও ধন্যবাদ প্রিয় কবির কবিত্ব গুণের।