নির্জন দুপুর,
রোদ যেন শহরের উপর ছড়িয়ে দিয়েছে তার সোনালি আলো।
পায়ের নিচে ধুলো,
বাতাসে ভেসে আসে শুষ্ক পাতার মৃদু শব্দ।
হাঁটছি, কিন্তু কোথায় যাচ্ছি জানি না।
প্রতিটা পদক্ষেপের সঙ্গে যেন সময় থেমে যায়,
চারপাশের জীবনও থেমে থাকে কিছুক্ষণ।

সামনের রাস্তাটা একেবারে ফাঁকা,
শুধু দূরে একটা পুরোনো বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
জানালায় কেউ নেই, দরজা বন্ধ।
মনে হয়, এই বাড়িটাও হয়তো একদিন বেঁচে ছিল,
ভেতরে হাসি-কান্নার গল্প ছিল,
এখন সব নিঃশব্দ।

কিছুদূর এগিয়ে দেখি—
একটা ছোট্ট শিশু রাস্তার পাশে বসে আছে।
হাতে ছোট্ট একটা খেলনা,
চোখে যেন পৃথিবীর সমস্ত জিজ্ঞাসা।
সে হয়তো জানতে চায়—
কেন এই পৃথিবী এত নিঃশব্দ?
কেন আমরা শুধু হাঁটছি?
কেন গন্তব্য নেই, পথের শেষে কি কেউ নেই!

আমি থেমে যাই, কিছু বলি না,
শুধু তাকিয়ে থাকি তার দিকে।
সেই মুহূর্তে যেন বুঝতে পারি—
আমাদের সকল যাত্রাই অবশেষে এই একাকীত্বের!
একটা নির্জন দুপুরের অপেক্ষায়,
যেখানে সব প্রশ্নের উত্তর শুধুই নীরবতা।

=========