এক চুপচাপ আশ্রয়, যেখানে সবকিছু থেমে যায়!
সময়ের হিসাবও অর্থহীন হয়ে পড়ে।
কবরের ভেতর নিস্তব্ধতা—
যেন পৃথিবীর কোলাহল থেকে মুক্তির এক নির্জন জায়গা।
মৃতদেহকে মাটি গিলে নেয়,
তবু সেখানে যেন লুকিয়ে থাকে অমরত্বের আভাস।
মৃত্যু তো কেবল একটা দরজা,
কবর সেই দরজার পেছনের সীমানা—
যেখানে শরীর বিশ্রাম নেয়, আর আত্মা খুঁজে পায় তার মুক্তি।
মাটি ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলে সবকিছু,
কিন্তু জীবনের গল্পগুলো মিশে থাকে কবরের গভীরে!
প্রতিটি কবর যেন এক একটি গল্পের শেষ পৃষ্ঠা,
তবুও সেখানে লুকিয়ে থাকে নতুন কোনো শুরু।
এক অদ্ভুত শান্তি সেখানে, মাটির নিচে;
যেন পৃথিবীর সব ভার নামিয়ে রেখে আত্মার মুক্তি।
কবর কেবল নিস্তব্ধতার প্রতীক নয়,
বরং পুনর্জন্মের এক প্রতীক।
যে মাটির বুকে আমরা দেহ ছেড়ে শুই,
সেই মাটিই তো নতুন প্রাণের সূচনা করে।
আজ যারা এখানে শুয়ে—
তারা হয়তো সেই গাছের শিকড়ে,
সেই ফুলের পাপড়িতে রয়ে গেছে।
কবর মানে শুধু শেষ নয়, বরং এক শাশ্বত আবর্তন,
জীবনের নিরবচ্ছিন্ন স্রোত।
কবরের উপর দিয়ে বয়ে যায় বাতাস,
পাতা ঝরে পড়ে, সময়ের ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয় না।
তবু মাটি জানে, সে কী বহন করছে।
সব কিছু নিয়ে যায় গভীরে,
নিয়ে যায় সব স্মৃতি, সব অনুভূতি।
=========