হৃদয়টা যেন একটা ঘর।
এক টুকরো শান্তির আশ্রয়!
যেখানে সব অনুভূতি মিলে মিশে থাকে।
এই ঘরে দরজা আছে,
সেটা খোলা-বন্ধের উপর নির্ভর করে—
কতটুকু সুখ-দুঃখ ভেতরে ঢুকবে বা বের হবে।

দরজাটা খোলা থাকলে আলো আসে।
সূর্যের কিরণ এসে মনের কোণায় নতুন দিনের আশা জাগিয়ে তোলে।
ভালোবাসার স্নিগ্ধ আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে,
আত্মার প্রতিটি কণায় স্নিগ্ধতা এনে দেয়!
জীবন পথে হাঁটতে গেলে এই আলোর প্রয়োজন।
কারণ আলো ছাড়া অন্ধকার গভীরে হারিয়ে যাওয়ার ভয়!

কখনো বা দরজাটা বন্ধ থাকে।
বাইরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়,
আকাশ মেঘে ঢেকে যায়।
তখন হৃদয়ের দরজাটা বন্ধ রাখতেই হয়,
নিজের মনের স্বস্তি রক্ষা করতে।
দরজা বন্ধ থাকলে একটা অদৃশ্য দেয়াল গড়ে ওঠে,
যার ভেতরে মনের গভীরতম গোপন কথাগুলো লুকিয়ে থাকে।
এই দেয়াল ভাঙতে চায় না,
কারণ তার পেছনে যে দুঃখ-যন্ত্রণার অগণিত স্মৃতি জমে আছে।

কখনো দরজাটা অর্ধেক খোলা থাকে।
এই অবস্থায় হৃদয়ের ভেতরে বাইরে থেকে,
একটু একটু করে অনুভূতির স্রোত ঢুকে পড়ে।
তখন মনের গভীরে চলতে থাকে অনুভূতির খেলা।
সুখ-দুঃখ মিলে একাকার হয়ে যায়।
কখনো কান্নার জল গড়িয়ে পড়ে,
আবার কখনো হাসির ঝর্ণা বয়ে যায়।

এই দরজার নিয়ন্ত্রণ যে করে,
সে-ই হৃদয় অধিকারী।
তার ইচ্ছাতেই দরজাটা খোলে,
আবার তার ইচ্ছাতেই বন্ধ হয়।
দরজা যতই খোলা বা বন্ধ থাকুক,
হৃদয় গভীরে সবসময় একটা উষ্ণতার সঞ্চার হয়।
কারণ হৃদয় হল অনুভূতির আধার,
দরজা খোলা থাকলে ভালোবাসা এসে ধরা দেয়,
আর বন্ধ থাকলে স্মৃতির অন্ধকারে জেগে থাকে আশা, আকাঙ্ক্ষা।

=========