রাতের গভীরতায়, যখন পৃথিবী নিস্তব্ধ,
ভূতুড়ে চরিত্রগুলো ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে।
চেনা জগতের সীমানা পেরিয়ে—
যেন, আসে এক অন্য জগত থেকে!
তাদের চোখে মিটমিট করে অজানা রহস্যের আলো!
যা মনকে বিস্ময়ে পূর্ণ করে!

একটি পুরোনো বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে—
এক অদ্ভুত ছায়ামূর্তি!
যার চোখে অমোঘ সম্মোহনী আকর্ষণ!
ছেড়া কাপড়, নিকষ কালো চেহারা, চোখ গর্তে ভরা!
তার উপস্থিতি মনে করিয়ে দেয়, ভেতরের সব ভয়!
মনে করিয়ে দেয় অজানা কল্পনাগুলোকে।
হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটায় পাতা নড়ে ওঠে!
মূর্তির মুখে ফুটে ওঠে এক রহস্যময় হাসি!
সেই হাসিতে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর পুরোনো গল্প,
প্রাগৈতিহাসিক গল্প, যা কেউ কখনো শোনেনি!

পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে এক অদ্ভুত প্রাসাদ!
যার প্রতিটি কোণায় বাস করে এক অজানা অতীত!
তার দেয়ালে লেগে থাকা শ্যাওলার গন্ধে—
মিশে আছে সেই দিনের স্মৃতি;
যখন এই প্রাসাদ জীবন কোলাহলে মুখর ছিল।
এখন শুধু বাতাসের সঙ্গে ফিসফিস কথা বলা!
হৃদয় বিদারক, রোমহর্ষক ভয়ংকর স্বরে —
যেন বলতে চায় তাদের হারিয়ে যাওয়ার কাহিনী।

এক চন্দ্র রাতে, যখন চাঁদের আলোয় বনভূমি সোনালী হয়ে ওঠে,
এক ভুতুড়ে চরিত্র পাতা ফাঁক করে বেরিয়ে আসে!
তার হাতে ধরা এক অদ্ভুত প্রাচীন লন্ঠন!
যার আলো-ছায়ার খেলায় সৃষ্টি হয়, এক নতুন গল্প।
সেই গল্পে মিশে থাকে ভয়, বিস্ময়, আর এক অজানা আকর্ষণ!
যা আমাদের মনকে গভীর ভাবে সম্মোহন করে।

নদীর ধারে বসে থাকা এক অদ্ভুতুরে মানুষ!
যার চোখে হারিয়ে যাওয়ার চিরবিস্ময়া নেশা!
তার কণ্ঠে ভেসে আসে এক অদ্ভুত গান!
যা মনে করিয়ে দেয় অতীতের ভৌতিক গল্পগুলো।
সেই গানে লুকিয়ে থাকে এক অন্য জগতের আহ্বান!
যা আমাদের টেনে নিয়ে যায় এক অজানা পথে।

ভূতুড়ে চরিত্রগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়,
চেনা দুনিয়ার বাইরে আরও অনেক কিছু আছে!
যা আমরা কখনো বুঝতে পারি না।
তারা আমাদের সামনে তুলে ধরে—
এক অদ্ভুত জগতের দরজা!
যা খুললেই দেখতে পাই, এক নতুন রহস্যময় পৃথিবী!
তাদের উপস্থিতি মনে জাগিয়ে তোলে, এক গভীর কৌতূহল!
যা নিয়ে যায় এক অজানা-অচেনা রোমাঞ্চের পথে।

=========