রাত্রির নিস্তব্ধতা ছিঁড়ে, চিৎকারের শব্দ বুনে যায় অন্ধকার দেয়ালে।
পাষাণ হাতগুলো আদিমতা খুঁজে ফেরে,
একটি শরীরকে মৃত নদীর মতো বিবস্ত্র করে।
ফুল ফুটতে চেয়েছিল সেদিন,
কিন্তু আগুনে পুড়েছিল তার সবুজ পাঁপড়ি।
আকাশে চাঁদ ছিল—নিঃসঙ্গ, নির্বাক,
তাঁরারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সলজ্জ রাতে।
চোখের জল সেদিন নীরব অভিশাপ হয়ে—মিশে গিয়েছিল মাটির গভীরে,
আর সমাজ?
সে তো অন্ধ, বধির—শুধু মেয়েটির নামে লিখে দিয়েছিল হাজারো প্রশ্নের কাঁটাতার।
তবুও সে উঠে দাঁড়ায় ভাঙা বুকের খাঁচায় আগুন জ্বেলে,
কারণ সে জানে—তার দেহে আঁচড় পড়লেও তার আত্মা অপরাজিত, অবিনশ্বর।
ধর্ষণ শুধু শরীরের ক্ষত নয়, এ এক সমাজের আত্মার পচন।
========