গল্প তো সবারই থাকে।
কেউ কেউ জন্ম থেকে শুরু করে একটা বিশাল উপন্যাস লিখে ফেলে!
পাতার পর পাতা ভরে ওঠে চরিত্র, সংলাপ, দৃশ্যপট।
আর কেউ কেউ থাকে—
তাদের গল্প হয় কেবল দীর্ঘশ্বাস।
কোনো শব্দ নেই, কেবল নিঃশব্দ হাহাকার,
চাপা কষ্টের আর্তনাদ।
উপন্যাসের গল্পে থাকে উত্থান-পতন কাহিনী,
থাকে নায়ক-নায়িকার বিজয়ের পালা।
কিন্তু দীর্ঘশ্বাসের গল্প?
সেখানে কোনো মোচড় নেই, নেই কোন উচ্ছলতা!
কেবল থমকে থাকা সময়ের ভেতর জমে থাকা ব্যথা।
হয়তো থাকে একটুখানি আলো,
যে আলো চোখ পড়ে না কারো!
কিন্তু সেই ছোট ছোট আলোর মুহূর্তগুলোই জীবনের সব।
একেকটা দীর্ঘশ্বাস, একেকটা চুপ করে থাকা রাত!
অধীর প্রতীক্ষা, একটা নতুন সূর্যোদয়ের।
যাদের গল্প হয় উপন্যাস—
তারা কখনোই বুঝতে পারে না দীর্ঘশ্বাসের গল্প কতটা গভীর।
সেখানে নেই কোনো উচ্ছলতা, নেই নাটকীয়তা,
নেই কোন বড় সংলাপ, নেই সহমর্মিতা।
আছে শুধু নীরব এক প্রতিচ্ছবি, ক্ষীন অনুভূতি!
যেটা সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে যায়।
কিন্তু হৃদয়ের ভেতরের দাগ, থেকে যায় চিরকাল।
থেকে যায় অমলিন, চির-অম্লান।
=======