যখন পৃথিবীর সবকিছু স্তব্ধ!
চারদিকে আধারের ঘনঘটা!
তখন, ঐ আকাশে জ্বলে ওঠে অসংখ্য তাঁরা।
সেই তাঁরায় সাজানো আকাশ অন্ধকারে'ও আলো ছড়ায়,
নীরবতার মধ্যে বয়ে আনে মৃদু সুর সঙ্গীত।
একেকটি তাঁরা যেন একেকটি গল্প বলে,
প্রাচীন স্মৃতির ডালি খুলে ধরে।

তাঁরাগুলো দূরের হলেও,
তাদের আলো কাছে পৌঁছাতে নেয় না সময়।
কত শত আলোকবর্ষ পেরিয়ে এসে,
তারা রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে।
সেই আলো দেখে মনে হয়,
তারা যেন আমাদের জন্যই অপেক্ষা করছিল—
জীবনের প্রতিটি সন্ধ্যায়, প্রতিটি গভীর রাতে!

রাতের নীরবতার মধ্যে,
তাঁরাগুলো মৃদু আলোয় লিখে চলে একেকটি কবিতা।
লিখে চলে, একেকটি অসমাপ্ত গল্পের পাতা।
সেই কবিতায়, সেই গল্পে মিশে থাকে প্রেম, ব্যথা, আশা আর স্বপ্ন!
তাঁরাগুলো হয়ে উঠে জীবনের প্রতিচ্ছবি!
আমাদের কষ্ট আর আনন্দের সঙ্গী।

তাঁরাগুলো হৃদয়ের গহীনে ছড়িয়ে দেয়, এক অদ্ভুত সান্ত্বনার পরশ।
অন্ধকার রাতের মধ্যে তারা যেন মেলে ধরে আলোর পেখম!
দেখায় নতুন দিনের প্রতিশ্রুতি।
তাদের আলো, অব্যক্ত শ্রুতির স্বরে বলে—
"অন্ধকারের পরেই আসে নতুন আলো, নতুন সূর্যোদয়।"

রাতের তাঁরা জীবনের প্রতিটি কষ্টের মুহূর্তে,
প্রতিটি আনন্দের ক্ষণে—
আমাদের সাথেই থাকে।
তাদের আলোয় আমরা খুঁজে পাই শান্তি, খুঁজে পাই আশার প্রদীপ।
তাদের নিঃশব্দ আলো'য় পেয়ে যাই জীবনের অর্থ,
পেয়ে যাই জীবনের সুর।

রাতের তাঁরা মনে করিয়ে দেয়,
আমরা কখনো একা নই।
তারা জড়িয়ে আছে, জীবন চলার পথে,
আমাদের সুখ-দুঃখে'র সাথে!
নীরবে, নিঃশব্দে, আলোর পাখনা মেলে।
তাদের আলোয়, ভালোবাসায় খুঁজে পাই!
খুঁজে পাই জীবনের সব রঙ, সব আনন্দ।

==========