চোখ তো আত্মার অনির্বচনীয় আয়না,
যেখানে প্রতিফলিত হয় গূঢ় সত্যের ভাষ্য।
তার গভীরতায় লুকিয়ে থাকে অনুভূতির অপ্রকাশিত সংকেত,
দৃষ্টির সীমারেখায় স্পন্দিত হয় অমোঘ নিয়তি,
যেখানে মায়ার আবরণে জড়িয়ে থাকে অদৃশ্য আবেগের ছন্দমালা।
হৃদয়দ্বারে তার রশ্মি ধারায় এক অনিবার্য সমর্পণ,
প্রেম, বিষাদ, প্রত্যাশা—সবই বিলীন হয় তার আলোকপ্রবাহে।
চোখের অতলান্ত নীরবতায় জমে থাকে বিস্মৃত প্রণয়ের প্রতিধ্বনি,
তার প্রতিচ্ছবিতেই অনুরণিত হয় জীবনের চিরন্তন ব্যাকরণ।
চোখ তো আত্মার দুর্বোধ্য আয়না,
যেখানে প্রতিফলিত হয় অন্তর্লীন সত্যের অমোঘ ছায়া।
তার শূন্য দৃষ্টিপথে প্রতিচ্ছায়া খেলে যায় বিক্ষুব্ধ সময়ের!
প্রতিফলনে জাগ্রত হয় সুপ্ত অনুভূতির অব্যক্ত গাথা,
আর অন্তর্গত বিস্মৃতির অতলে নিমজ্জিত হয় স্মৃতির প্রজ্জ্বলিত দীপশিখা।
হৃদয়দ্বারে সে রশ্মির ধারায় অবিচল উৎসর্গ,
প্রেম ও বেদনার অপার সংমিশ্রণে গড়ে তোলে অনুভূতির অনির্বচনীয় প্রাচীর।
তার একমাত্র স্পর্শেই বিমোচিত হয় অন্তর্নিহিত আকাঙ্ক্ষার আবরণ,
আর চোখের অতল গহ্বরে লীন হয়ে থাকে অমোঘ নিয়তির অনাদি বাণী।
=======
বিঃ দ্রঃ- লেখাটি প্রিয় কবি "সঞ্জয় কর্মকার"-এর "নেত্রহীন" কাব্যের ভাব-বিন্যাসে লেখা। তাই এই লেখাটি সম্মানিত গুণীজন'কে উৎসর্গ করা হলো।