যে আমাকে চূর্ণ করে,
আমার ভেতরের প্রশান্তিকে তছনছ করে দেয়,
তার ছায়াই কি না, অদ্ভুতভাবে জুড়ে থাকে সমস্ত চিন্তার প্রান্তরে।
তাকে ভুলে থাকতে চাই,
তবু প্রতিটি নিঃশ্বাসে যেন তার স্মৃতির গন্ধ পাই।

অন্তরে গোপনে বিষাদ ঢেলে দেয়,
তার সেই অদৃশ্য উপস্থিতি—
যেন এক অব্যক্ত বোঝা হয়ে ওঠে।
তবুও, তাকে ঘিরে আমার অপেক্ষা থামে না।

অগোছালো নিরালায় বসে কাটে উৎকর্ণ প্রহর।
শব্দহীন বাতাস, থমকে যাওয়া সময়—
সবকিছুই যেন অভ্যন্তরের বিশৃঙ্খলার প্রতিবিম্ব।
তাকে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা,
না-জানা এক উত্তরের আশায় নিজেকে ছুঁড়ে দিই এই নির্জনতায়।

তার আঘাতের প্রতিটি টুকরো আজও  বিদ্ধ করে।
তবুও কেন জানি মনে হয়,
সেই আঘাতই অস্তিত্বের অংশ হয়ে গেছে।
তার নির্মমতার মাঝেও যেন লুকিয়ে থাকে এক অদ্ভুত টান।

এই নিরালার নিস্তব্ধতা আমাকে বোঝায়,
কিছু প্রতীক্ষা হয়তো শেষ হয় না।
কিছু সম্পর্ক থেকে যায় অসমাপ্ত,
কিন্তু তাদের স্মৃতিগুলো বয়ে বেড়ায় ভেতরে,
যেমন আমি বহন করি তার অদৃশ্য ছায়া।

অগোছালো এই প্রহরগুলোতে,
আমি তাকে ভালোবাসি,
ভালোবাসি তার দেওয়া ব্যথাকে,
যে ব্যথা একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে রয়ে যায়।

========