মানসিক শান্তির অভাবে,
শরীর আজও শ্বাস নেয় কিন্তু প্রাণ নেই তাতে!
যেন একটি পাথুরে কাঠামো, সময়ের ভারে নুয়ে পড়া।
শান্তির সন্ধান সহজ নয়।
এটি কোনো বাহ্যিক বস্তু নয় যা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়।
এটি অন্তর্নিহিত—মনের গভীরে, আত্মার গভীরে।
শরীর প্রতিনিয়ত শ্বাস নেয়, তবুও মনে হয় প্রাণ নেই।
মন ভরে থাকে একধরনের শুন্যতায়।
যেন সময়ের ভারে নুয়ে পড়া এক পাথুরে কাঠামো।
যেন জীবনের মুল্য, অভিব্যক্তি হারানো।
এমন এক কাঠামো, যা খালি চোখে জীবিত,
কিন্তু ভেতরে শুধুই শূন্যতা।
শহরের এই পথে, যেখানে হাজারো মানুষ প্রতিদিন হাঁটে,
সেখানে তাদের চোখে এক অদ্ভুত শূন্যতা।
মনের গহীনে জমে থাকা অন্ধকারে চুপিসারে কাঁদে জীবনের আকাঙ্ক্ষা।
প্রতিটি দেহ যেন এক জীবন্ত লাশ—চলমান, অথচ থেমে থাকা।
তাদের চিৎকার শুনতে পাই না,
কারণ আমাদের শহরও এখন বধির।
জীবন ও মৃত্যু যেন এক অদ্ভুত ছন্দে এক হয়ে গেছে।
তবে কি সবকিছু শেষ? হয়তো না।
যদি মানসিক শান্তি ফিরে আসে,
যদি হৃদয় আবার স্পন্দিত হয় জীবনের মূর্ছনায়,
তবেই হয়তো এই মৃত চোখগুলোতে ফিরে আসবে আলোর ঝিলিক।
হৃদয়ের বাগানে ফুটবে নতুন ফুল,
গাঢ় হয়ে উঠবে জীবনের রং।
হাজারো দেহ, যাদের চোখে কেবল শূন্যতা,
মনের গহীনে জমে থাকা অন্ধকারে চুপিসারে কাঁদে জীবনের আকাঙ্ক্ষা।
জীবন্ত লাশেরা হাঁটে, মৃত্যুর ছায়া নিয়ে বাঁচে প্রতিদিন,
তাদের চিৎকার কেউ শুনতে পায় না,
কারণ এই শহরও আজ বধির।
মানসিক শান্তি যদি জাগে,
একবার যদি তা খুঁজে পাওয়া যায়,
তবে এই লাশেরা আবার বেঁচে উঠবে,
তবেই হয়তো ফিরবে প্রাণ,
ফুল ফুটবে হৃদয়ের বাগানে, জীবন ফিরে পাবে তার পূর্ণতা।
আর এ লাশেরা ফিরে পাবে নতুন জীবন।
=========