গভীর রাত, শহরের সব আলো নিভে গেছে,
ঘুমের স্রোতে ভেসে গেছে মানুষ,
তখনও নিরবে জেগে থাকে একটি অন্তর।
বালিশ ভেজা অশ্রু আর শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো নীরবতা—এ এক অদ্ভুত ব্যথার ভাষা।
এই কান্না কারও সামনে প্রকাশ পায় না,
জানালার পর্দার আড়ালে, চারপাশের নীরবতার ভিতর লুকিয়ে থাকে।

কে বোঝে এই কান্নার গভীরতা?
কে জানে, প্রতিটি অশ্রুতে জমে থাকা সেই স্মৃতিগুলো?
কিছু স্মৃতি বেঁচে থাকে শরীরের গভীরতম কোণায়,
একা হওয়ার মুহূর্তগুলোতে তারা ঘুরে আসে।
অথচ, এই কান্নার সাক্ষী কেউ নয়।
দেয়ালগুলো সব শোনে,
জানালাগুলো দেখে,
কিন্তু তারা তো কথা বলতে জানে না।

একটা সময় মনে হয়, এ কান্না হয়তো বৃথা।
পৃথিবী তো চলছে নিজের ছন্দে!
কেউ শোনে না, কেউ থামে না।
অথচ, এই গভীর রাতই হয়তো সবচেয়ে সৎ।
এখানে কোনো মুখোশ নেই, কোনো ভণিতা নেই।
শুধু নিখাদ একাকিত্ব, এক মুঠো নির্জনতা।

এই কান্না বুঝতে গেলে আত্মা হতে হয় স্পর্শকাতর,
হৃদয় হতে হয় গভীর।
আর হয়তো, এই রাতের কান্নাই একদিন গড়ে তোলে নতুন ভোরের শক্তি।
হয়তো কারও জন্য নয়, নিজের জন্যই।
এক সময় কান্না থামে, আর ভোরের প্রথম আলো জানায়—তুমি একা নও।

==========