শেষ বিকেলের আলোয় সোনালী রঙে রাঙিয়ে উঠেছিল যে মেয়েটি।
তপ্ত সূর্যের রশ্মি'তে তার চুলের আভা —
এক অদ্ভুত মোহময়ী রঙে ঝিলমিল করে।
তার চোখে ছিল এক অপার বিস্ময়,
যেন দুনিয়ার সমস্ত রহস্য'কে সে এক নিমেষে ধারণ করতে পারে।

মেয়েটির চোখে ছিল, এক নীরব গল্পের ছায়া।
যেন তার প্রতিটি পলকে একেকটি গল্প বুনছিল,
যা কেবল তারই জানা।
তার মুখে ছিল এক অদ্ভুত শান্তির ছাপ,
যেন সে সমস্ত কষ্ট আর যন্ত্রণা'কে মেনে নিয়েছে,
তবুও হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে রেখেছে এক অমলিন হাসি।

পড়ন্ত বিকেলে মেয়েটি যখন নদীর পাড়ে বসে থাকে;
বাতাস তার চুলে মৃদু স্পর্শ করে!
নদীর পানিতে প্রতিফলিত হয় তার সৌন্দর্য!
সেই মুহূর্তে মনে হয়, পৃথিবী যেন থেমে গেছে!
কেবল তার অস্তিত্বে'ই ভরে উঠেছে সবকিছু।

তার চোখে ছিল চাওয়া না পাওয়ার এক গভীর ছাপ,
যেখানে কেউ ডুবে যেতে পারে।
ডুবে যেতে পারে হিংস্রতার অবক্ষয়ী সমাজ-সংস্কার!
সে চোখে ছিল বেদনার ছায়া,
ছিল নিস্তব্ধ'তার সূরে এক অদৃশ্য আশার আলো।
তার চোখের ভাষা যেন বলছিল,
"হয়তো আমার গল্প অসমাপ্ত, তবুও আমি আছি, আমি থাকব।"

পড়ন্ত বিকেলের আলোয় মেয়েটি যেন এক রহস্যময়ী ছবি,
যা কেউ দেখতে পায়, কেউ পায় না।
তার নীরব বেদনা, না বলা চোখের ভাষা—
কেউ বুঝতে পারে না।
তার সেই রহস্য, তার সেই গভীরতা,
তার সেই অশান্তি'র রঙে রঙিন আঁখির কথা!
সবকিছু মিলিয়ে সে হয়ে ওঠে এক অনন্ত স্মৃতি,
যা কখনও ম্লান হবে না।

=========