তুমি নেই, তবু যেন আছো, স্পর্শের বাহিরে!
দূরের আকাশের মতো—
অথচ প্রতিটি গানের সুরে তুমি আছো মিশে।
তোমার ছোঁয়া পাই না, তোমার কণ্ঠ শুনি না,
তবু তোমার অস্তিত্ব যেন, ভেতরে বেজে ওঠে!
তুমি আছো, হাওয়ার মতো!
যা দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়।
তুমি হয়তো কোথাও নেই,
তবু এই শূন্যতার ভেতর তুমি আছো।
আছো প্রতিটি নীরবতায়!
আছো লুকিয়ে, প্রতিটি কথার আড়ালে।
তোমাকে না ছুঁয়ে, না দেখে—
কেবল অনুভব করাই যেন একমাত্র সত্য।
তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি আমার গান!
যেন জীবনকে পরিপূর্ণ করে দেয়।
তুমি আমার সুরের ভেতর, হৃদয়ের ভেতর!
তুমি মিশে আছো প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি দমে।
স্পর্শের বাহিরে থেকেও তুমি—
মিশে আছো আমার গানের সুরে।
মিশে আছো হৃদয় ছন্দে, কল্পনার ভিড়ে।
কত দূরে তুমি, কত অজানা তোমার পথচলা,
তবু তোমার অনুপস্থিতি প্রতিটি সুরে ছড়িয়ে!
তোমাকে ছুঁতে পারি না!
অনুভবের অতীত তোমার অস্তিত্ব!
তবু যখন সুর বেজে ওঠে,
তখন মনে হয়, তুমি পাশে আছো বসে,
নিঃশব্দে সমস্ত হৃদয়কে দিচ্ছ ছুঁয়ে!
তোমার ছোঁয়া নেই, আছে ছায়া,
এক অন্তহীন ছায়া,
যা হৃদয় সুরে দেয় অন্য মাত্রা।
তোমার প্রতিটি নোট, প্রতিটি তাল,
যেন অন্তহীন ধূনন, যেন তোমার নামে'ই লিখা।
তুমি দূরত্বের মানচিত্রে হারিয়ে গেছো,
কিন্তু অস্তিত্ব সুরের মাঝে আজও বেঁচে আছে।
যেন সুরগুলো তোমার উপস্থিতির প্রতিধ্বনি,
এক অলৌকিক ছোঁয়া যা স্পর্শহীন তবু বাস্তব।
তুমি হয়তো অনেক দূরে,
কিন্তু এই দূরত্বেও তুমি নৈঃশব্দ্যের মাঝে!
আছো সৃষ্টির প্রতিটি পরতে মিশে।
মিশে আছো এক অদৃশ্য সুরের মতো,
যা হৃদয়ের গহীনে বাজতে থাকে,
বাজতে থাকে, থামবার কোনো ইচ্ছা নেই!
থামবার কোনো প্রয়োজন নেই।
=========