তোমার আমার চারপাশে কতশত মুখ আর মুখোশের সমারোহ,
কত আনন্দ-বেদনার বিচ্ছুরণ!
দুঃখের পশরা সাজিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে, কত অগণিত কিশোর-কিশোরীর!
আমরা যাকে ডিপ্রেশন বলে জানি।
পরিকল্পিত অপরিকল্পিত আনন্দের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে কত পরকিয়া-আপনকিয়া!
ভেসে যাচ্ছে কত যুবক-যুবতীর চাঁদনি পসর রাত!
কুপিবাতি জ্বালাবার মতো যথেষ্ট কেরোসিন নেই বলে, ভাঙা চালা আর ভাঙা বেড়ার ফাঁকে জোছনা মাখে কত নাম না জানা সুবিধাবঞ্চিত বুভুক্ষু মানুষ!
আধখানা শুকনো রুটি আর একগ্লাস কলের জলেই যাদের পরিপূর্ণ পরিতৃপ্তি!
দৈনিক মাত্র তিনশত টাকা মজুরির দাবিতে কত ক্ষুধার্ত চা শ্রমিকের আর্তচিৎকার!
দুচোখে তাদের সোনালী ভোরের অলীক স্বপ্নের চাষাবাদ।
অথচ, পূরণ হয় না জন্মজন্মান্তরেও!
আমরা তো তবু বেশ আছি!
দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পরে দিব্যি ভালো আছি।
অন্তত একখানা ছাদ আছে মাথার উপরে।
নানা রঙের ফুল ফল আর বৃক্ষরাজির প্রাচুর্যের মাঝেও ঘাপটি মেরে পড়ে আছে,
পড়ে আছে কতশত অদৃশ্য বিষবৃক্ষ।
পড়ে আছে মানুষের চামড়ায় মোড়ানো কত অগণিত অমানুষ!
জমদূত তার কর্তব্য পালনে এদিক সেদিক ছুটোছুটি করছে প্রতিনিয়ত,
হানা দিচ্ছে কারো না কারো দুয়ারে,
আমাদের দৃষ্টিসীমানার বাহিরে।
কত সুখস্বপ্ন উড়াউড়ি করছে প্রজাপতির ডানায় চেপে।
কেউ কেউ হয়তো আমরা হাতের মুঠোয় পুরতে পারছি তাদের,
কেউবা আবার সারা জনম প্রতীক্ষা করেও নাগাল পাচ্ছি না তাদের টিকিটিরও।
অনেককিছুই নিত্যনতুন ঘটে চলেছে আমাদের চারপাশে!
এর কতটুকুই বা আমরা খবর রাখি,
নিজেকে নিয়েই যখন সবাই ব্যস্ত থাকি!
=========