নীল শাড়ির ভাঁজে লুকিয়ে রাখা জুঁইফুলের পাপড়ির মতো শরীর।
আঁচলের নিচে নোনতা ঘ্রাণের প্রলেপ,
পুরুষত্বের অলস নিউরণগুলো ধীরে ধীরে জেগে ওঠে।
কারুকাজে খচিত শরীরের প্রতিটি বাঁক যেন— কাব্যকলার একেকটি পঙক্তি!
যা হৃদয়কে স্পর্শ করে, মনকে মোহিত করে।

সমুদ্রের মতো বিশাল আকাশের প্রতিফলন,
নীল শাড়ির স্তরে লুকিয়ে থাকা ফুলের রহস্য।
সে ফুলগুলোর গন্ধে অধিকার আছে যার,
শুধু সে-ই জানে তা কেমন।
যেন প্রতিটি স্পর্শে, প্রতিটি নিঃশ্বাসে, প্রতিটি ভাঁজে—
লুকিয়ে আছে নতুন কোনো গল্প,
লুকানো কোনো অজানা অনুভূতির রূপকথা।

আঁচলের নিচে জুঁইফুলের পাপড়ি বেয়ে—
চুইয়ে পড়ে একটুকরো নোনতা ঘ্রাণ,
যেন দুঃস্বপ্নের শেষে টিকে থাকা একমাত্র স্মৃতি।
পুরুষত্বের চুপসে যাওয়া নিউরণগুলো,
সেই ঘ্রাণে হঠাৎ করেই যেন জেগে ওঠে।
জেগে ওঠে কোনো এক সুপ্ত বাসনার রেশ ধরে।

তোমার শরীর,
যেন কোনো কবির হাতে আঁকা নান্দনিক পঙক্তি!
তার কারুকার্য মুগ্ধ করে উৎসাহী পাঠক'কে,
কাব্যরসে ঢুকে পড়ে মনের গভীরে।
সেই শরীর,
যা বহন করে নীল শাড়ির ভাঁজে আকাশের গভীরতা!
যেখানে লুকিয়ে আছে—
জুঁইয়ের মতো আর কত ফুল, কত সৌরভ।
সেই সৌরভ, যা অধিকারে রাখার ক্ষমতা কেবল তারই,
যে জানে কিভাবে স্পর্শ করতে হয় তোমার আত্মাকে,
যে জানে কিভাবে শুঁকে নিতে হয় প্রতিটি রহস্যের ঘ্রাণ।

নীল শাড়ির প্রত্যেকটি ভাঁজে, প্রত্যেকটি মোচড়ে, একেকটি কাহিনী লেখা,
যা কেবলমাত্র তাকে'ই ধরা দেবে,
যে পেরেছে তোমার শরীরের গোপন সুরগুলো পড়তে।
যে পেরেছে তোমার আত্মার গভীরে পৌঁছাতে।
সেই ফুলের ঘ্রাণ কেবল তারই,
যাকে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছ।
কেবল তারই,
যে পেরেছে সেই সৌন্দর্যের গভীরে প্রবেশ করতে!
সেই লুকানো ঘ্রাণের অধিকারী হয়ে উঠতে।

=========