রাজনেতা এখন বুভুক্ষু হায়েনা।
গরিবের রক্ত চুষে গড়ে অট্টালিকা।
মুখোশের আড়ালে লুকায় নির্মম বাস্তবতা।
উন্নয়নের কথা বলে,
সেবার কথা বলে,
বাস্তবে মানুষকে শোষণ করে।

অট্টালিকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়—
গরিবের স্বপ্নের ভাঙা টুকরো দিয়ে।
তাদের শ্রমের ঘাম, চোখের জল, অব্যক্ত কষ্ট—
মিশে থাকে প্রতিটি ইটে।
রাজনেতারা অট্টালিকার উচ্চতায় পৌঁছায়,
আর গরিবেরা নীচে থেকে যায়!
থেকে যায় অন্ধকারে, তাদের কষ্টের গভীরে।

হায়েনারা শিকার করে রাতের আঁধারে,
রাজনেতা শিকারী দিনের আলোতে।
তাদের মুখে মধুর প্রতিশ্রুতি,
কিন্তু কাজের ভেতর বিষ শোষণ রীতি।
তারা কথা দেয়, উন্নয়নের স্বপ্ন দেখায়,
সেই স্বপ্ন গরিবের কাছে এক দুঃস্বপ্নই রয়।

গরিবেরা হারায় সব,
নিজেদের স্বপ্ন, সম্মান, জীবনের আশা।
তাদের রক্তের স্রোত বয়ে চলে,
অট্টালিকার প্রতি স্তম্ভে লেগে আছে দাগ।
তবুও গরীব পায়'না খুঁজে স্বপ্ন সুখের ভাগ।

এভাবে আর দেশ চলে না,
দরকার নতুন সকাল,
যেখানে রাজনেতা হবে ধনী-গরীব সবার।
যেখানে অট্টালিকায় থাকবে না আর—
গরিবের রক্তচিহ্ন,
থাকবে না শোষণের দাগ,
কোঠা হবেনা ভিন্ন।
মানবতার জয়গান উঠবে,
গরিবের মুখে হাসি ফুটবে,
রাজনীতি হবে সেবার জন্য,
মানুষের কল্যাণ তুল্য।

=====